চণ্ডীকাব্য-কবিকঙ্কণ-১৫৭৭–১৫৮৯ খৃষ্টাব্দ। ○○○ সর্ব্বশী হারায় যদি প্রাণ মোর নিল বিধি জলদানে হইও সদয়॥ উঠিয়া পর্ব্বত পাড়ে নেহালয়ে ঝোড়ে ঝাড়ে দরী গিরি শিখরী কানন। এক ঠাই হৈল ছাগ (১) সর্ব্বশী না পাইল লাগ বিরচিল শ্রীকবিকঙ্কণ॥ অচেতন হয়ো কাদে হারায়ো সর্ব্বশ। লোচনের লোহেতে (২) মলিন মুখ-শশী॥ উভরায় কন্দে রামা শিরে দিয়ে হাত। বিকল হইয়া বলে কোথা প্রাণনাথ। একে একে ভ্রমে রামা সকল কানন। সর্ব্বশী বলিয়া ডাক ছাড়ে ঘনে ঘন॥ উচ্ছেদে ছিণ্ডিল নখ রক্ত পড়ে ধারে। সর্ব্বশী বলিয়া রাম ডাকে উচ্চৈঃস্বরে॥ কতদূরে সরোবরে শুনি হুলাহুলি। খুল্লন ভাবেন কেহ ছাগ দেয় বলি ৷ ঘন শ্বাস বহে রামা গেল সরোবর। জিজ্ঞাসে ছাগীর কথা যোড় করি কর॥ ইন্দ্রের কুমারী বলে নাহি দেখি ছাগী। পরিচয় দেহ কন্যা কেন দুঃখ-ভাগী॥ উর্ব্বণী সমান রূপ জাতীয় পদ্মিনী। কিসের কারণে তুমি ভ্রম একাকিনী। যদি সত্য কহ তবে খণ্ডাব সন্তাপ। যদি মিথ্যা বল তবে দিব অভিশাপ॥ এ কথা শুনিয়া রামা দেয় পরিচয়। অম্বিকা-মঙ্গল কবি কঙ্কণেতে গায়॥ শ্রীমন্তের বাল্য-লীলা। কোন কোন স্থানে “শ্রীপতি” নাম পাওয়া যায়; শ্রীমন্ত ও শ্রীপতি এই দুই নামেই খুল্লনার পুত্র পরিচিত। এক বৎসরের যবে সাধুর নন্দন। করতালি দিয়া ফিরে নাচয়ে অঙ্গন॥ (১) ছাগল সকল একত্র জড় করা হইল। (২) জলে
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৪৮৭
অবয়ব