ধর্ম্মরাজের গীত–রামনারায়ণ–১৭শ শতাব্দী। 8:్చలి অজয় নদীর তোরা কর অহঙ্কার। হয়ে চাপি হেলায় হয়্যাছি আমি পার॥ তোর সঙ্গে বাক্যব্যয় নাঞি প্রয়োজন। যাহ শীঘ্র ইছাএ বলহু বিবরণ॥ শীঘ্র চল কদাচিৎ নাঞি রয়্য (১) হেথা। কালু বীর কুপিলে কাটিয়া নিব মাথা॥ সেনের বচনে ভয় পায়্যা নিশাপতি। ফিরা আইল ইছা এরে কহিতে ভারতী॥ ইছাএ প্রণাম করি অতি সবিনয়। করষোড়ে কোটাল সকল কথা কয়॥ কোটালের নিবেদন। কর্ণসেন রাজারে জানহ মহাশয়। তব যুদ্ধে পূর্ব্বেতে হইয়্যা পরাজয়। পলাইয়া ময়নাতে করিয়াছে ধাম। তার পুত্র আসিয়াছে লাউসেন নাম। সঙ্গে আছে একজন কালু নামে বীর। তার হাতে কাটা গেছে লোহাটার শির॥ বাজী চাপি পার হৈল অজয়ের বারি। আমারে কছিল কথা বড় দৰ্প করি ৪ ইছাএ কহগ্য শীঘ্র এই সমাচার। কর দিয়া রাকুক ঢেকুর অধিকার। নতুবা করুক রণ যদি বল থাকে। এই কথা পুনঃ পুনঃ কহিল আমাকে॥ কোটালের বচনে ইছাএ চমৎকার। কি বলি আরাতিগণ অজয় হল্য পার॥ - পবন বরুণ যদি হয় মোর অরি। পার হৈতে নারে নদী অজয়ের বারি॥ তরিল তরঙ্গ (২) রিপু চাপিয়া তুরঙ্গ। গড় চাপি বসিল না করে ভ্রভঙ্গ। গৌড়েশ্বর আল্য পুত্র লইবার জন্য। সাত বার পলাইল নব লক্ষ সৈন্ত। হেন বীর এক শরে হইল সংহার। অতঃপর ঘোরতর বিপদ আমার॥ (১) নাহি রহিও। (২) তরঙ্গ উত্তীর্ণ হুইল।