G o o বালির ক্ষমা-প্রার্থন। বর্ষাকালে বিরহ। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। বালি বলে রাম তুমি সংসার-পূজিত। ঘাএর দশহে যত কহিনু সব অনুচিত॥ প্রণাম করিঞা বলি তোমার চরণে। সুগ্রীব অঙ্গদের তুমি করিহ পালনে॥ সুগ্রীব রাজা করিতে তোমার অঙ্গীকার। অঙ্গদ কুমারে কিছু দিহ অধিকার। রণে ভঙ্গ না দেই অঙ্গদ যুঝে আগুয়ান (১)। যে ভিতে অঙ্গদ যুঝে সে ভিতে পড়এ ভঙ্গ্যান। (২) কৃত্তিবাস পণ্ডিত গুণের সাগর। কিষ্কিন্ধ্যা-কাণ্ড গাইল শুনিতে মনোহর। মাল্যবান পর্ব্বতে রাম-লক্ষণ। তোমার প্রবোধে লক্ষ্মণ কর অবগতি। বরিষা-সময়ে স্থির নহে মোর মতি॥ অষ্ট মাস রবির কিরণ সংসার-শোষণ। চারি মাস বরিষে মেঘে হয় আচ্ছাদন॥ বরিষণে ভিজিয়া পৃথিবীর অন্তরে বাড়ে তাপ। সীতা স্মঙরিয়া যেন আমার সন্তাপ॥ দুই কুলে সরযু বহে নির্ম্মল জল। অযোধ্যায় শুনি যেন লোকের কোলাহল॥ মহাপ্রতাপ স্থর্য্যের তেজ বরিষা-কালে ঢাকে। আমি যেন মজিলাঙ জানকীর শোকে॥ বরিষণের ধারা যেন পর্ব্বত-শিখর। রাজা হৈঞা রাজ-ভোগী সুগ্রীব বানর॥ কাল মেঘে দেখি চিকুরের (৩) পাটি পাটি (৪)। কাল রাবণের কোলে সীতার ছটফট। (৫) অগ্রসর। (২) যে দিকে অঙ্গদ যুদ্ধ করে সে দিকে বিপক্ষগণ পৃষ্ঠভঙ্গ দেয়। (৩) বিদ্যুতের। (৪) পাটি পাট=পংক্তি। (৫) বিদ্যুৎ স্থির থাকে না, সীতাও রাবণ কর্তৃক ধৃত হইয়া হাত পা ছুড়িতেছিলেন, এই জন্ত বিদ্যুতের সঙ্গে বাল্মীকি এই অবস্থায় সীতার উপমা দিয়াছিলেন। “যুৱর্ত্তী রাবণস্তাঙ্কে বৈদেহীব তপস্বিনী” কথার অর্থ “ছটফটি” শব্দে সুন্দরন্ধপে ব্যক্ত করা হইয়াছে।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬২৪
অবয়ব