や>○ বৃষকেতুর অভিভাষণ। প্রমীলার উত্তর। যুদ্ধ। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। সিংহনাদ করি সবে কৃষ্ণ-পদ ভাবি তবে রণ-মুখে করিল গমন। দেখি বৃষকেতু বীরে প্রমীলার সমরে আগু হৈয়া করিলা গমন। দেখিলা সকল নারী আস্তে সভে তরণতরী দেখি বীর হাসে ততক্ষণ ৷ তার হাস্ত দেখি নারী মনে ক্রোধ বহু করি তারে সভে রাখিল বেড়িয়া। বৃষকেতু মহাবীর সমরেতে মহাধীর কহে বীর ঈষৎ হাসিয়া ৷ শুনগো প্রমীলা রাণী তোরে আমি কহি বাণী তোর বল নহে ব্যবহার। তোর সঙ্গে মোর রণ নহে অতি সুশোভন অশ্ব ছাড়ি দেহত আমার। এতেক শুনিয়া বাণী বলেন প্রমীলা রাণী শুন বীর আমার বচনে। যদি ঘোড়া নিবে তুমি বচনেক কহি আমি তৃণ আনি করহ দশনে॥ এত শুনি বৃষকেতু ক্রোধ হৈলা ধীর-কেতু তারে বীর বলেন বচন। স্বভাব স্ত্রী-জাতি তুমি তেঞি এত সহি আমি এতক্ষণে নিতাঙ (১) জীবন ৷ এই মতে বোলাবুলি দুই জনে গালাগালি হৈল তথা ঘোরতর রণ। অস্ত্রে অস্ত্র হানাহানি করিছেন বীরমণি এই মত বিন্ধে দুই জন ৷ আর যত সৈন্ত ছিল যুথে যুথে বারি হৈল © গড়ে সৈন্ত নাহি লেখা যোখা। বৃষকেতু ক্রোধ করি বিন্ধেছে প্রমীলা নারী বিন্ধে বীর ঘোড়ার দুই পাখী॥ (১) লইতাম।