৭২৮ ৰম-পুরীতে। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। এত শুনি হাসিয়া বলেন নারায়ণ। শমনের পুরী তুমি করহ গমন॥ মোর প্রতিমূর্ত্তি তথা যম ধর্ম্মরাজ। ত্বরিত গমনে যাহ তাহার সমাজ॥ নামের মহিমা তিহু কহিব যে আর। তারে জিজ্ঞাসিলে ভ্রম খণ্ডিব তোমার॥ এত শুনি আনন্দিত হৈলা তপোধন। প্রণমিঞা চলি গেলা যমের ভবন। যমের বিচিত্র সভা না হয় বর্ণন। নিবসয়ে তথা যে যতেক পূর্ণ জন॥ চতুভূজ শুামমূর্ত্তি দিব্য-কলেবর। খঞ্জন অঞ্জন-নেত্র স্বরঙ্গ অধর। পীতবাস-পরিধান রাজীব-লোচন। শঙ্খ চক্র গদা পদ্ম অতি সুশোভন॥ কনক-মুকুট মাথে শোভে অতিশয়। মেঘের উপরে যেন হুর্য্যের উদয়॥ দেখিয়া বিস্ময় হইল মহামুনিবর। প্রণাম করিয়া স্তুতি করিল বিস্তর॥ স্তুতি-রসে প্রসন্ন হইলা মৃত্যু-পতি। জিজ্ঞাসিল কি হেতু আইলে ঋষি-পতি। মুনি বলে আইলাম শুনহ কারণ। কহিবে আমারে তুমি নাম নিরূপণ॥ এত শুনি হাসিয়া বলেন মৃত্যু-পতি। পুরার দক্ষিণ দ্বারে যাহ শীঘ্রগতি॥ হরিনাম-মহিমা পাইবে সেইখানে। তবে সে মনের ভ্রান্তি হইব খণ্ডনে॥ এত শুনি হাসিয়া চলিলা তপোধন। পুরীর দক্ষিণদিগে করিল গমন। দেখিল যমের মার্গ পাপীর তাড়ন। ক্রিমি-হ্রদ সারি সারি অদ্ভূত-গঠন। অসিপত্র মহাবন দেখে ভয়ঙ্কর। উষ্ণ-কুল-বৃষ্টি কোথা হএ নিরস্তর॥