ভাগবত–মালাধর বহু—১৫শ শতাব্দ। নগরিয়া লোক সব বস্ত্র কুড়াইল। তা দেখিয়া রাম কৃষ্ণ হাসিতে লাগিল ৷ দূত গিয়া জানাইল কংস নৃপবরে। রজক মারিয়া বস্ত্র লৈল গদাধরে ৷ শুনিয়াত কংস রাজা গুণে পরমাদ। অবনী লোটায় কাদে ভরিয়া বিষাদ॥ হরির চরণে গুণরাজ খান ভণে। পুনরপি জন্ম নহে চিন্ত নারায়ণে॥ সিন্ধুড়া রাগ। বস্ত্র লয়ে বেশ করে রাম দামোদর। কন্দপ জিনিয়া রূপ দেখিতে সুন্দর ৷ কত দূরে মালাকারে দেখি গদাধরে। সুগন্ধি-কুসুম-মাল্য দেহত আমারে। আমা হৈতে অনেক ভাল হইবে তোমার। বলিয়া বসিল পাশে নন্দের কুমার॥ দেখিয়াত মালাকার সন্ত্রমে উঠিয়া। পূজিলত দুই ভাই পান্ত অর্ঘ্য দিয়া॥ গন্ধ পুষ্প মালা দিল উত্তম বসন। নানা ভোগ তামূল দিয়া পুজিল দুই জন ৷ তুষ্ট হয়ে বর তারে দিলা গদাধর। নানা মুখ ভুঞ্জিবে মালী সংসার ভিতর॥ উত্তম জাতি হৈল মালী গোবিন্দের বরে। সর্ব্বলোক খায় জল মালাকার ঘরে॥ হরিষে বর দিয়া গেলা মালাকারে। রাজ-পথে চলি যায় মথুরা নগরে ৷ নানা রঙ্গে চলি যান বালকের সঙ্গে। দেখিয়া কুজী নারী বড় পাইল রঙ্গে॥ তিন ঠাএী বঙ্ক দেখি হাস্ত উপজিল। কার নারী কিবা নাম কৃষ্ণ জিজ্ঞাসিল॥ কৃষ্ণের বচন শুনি কুজী একমনে। হাসিতে হাসিতে বলে গোবিন্দ-চরণে॥ মালাকরের প্রতি কৃপা। 일
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৮৯৫
অবয়ব