ভাগবত—নরসিংহ দাস-–১৭শ শতাব্দী। জল নিতে আইলাঙ আমি আসি দেখা দিলে তুমি বিরহিণীর পূর্ব অভিলাষে। ব্রহ্মার বাহন তুমি তেরি নিবেদিয়ে আমি কৃপা করি করহ আরতি। দুঃখের বীরতা লয়্যা কহগা শু্যামেরে যায়্যা বনবাসী হৈল কুলবতী॥ তোমা সঙ্গে প্রীতি করি যত গোপ-কিশোরী কুল শীল সব তিয়াগিয়া। সুধাইবে যতন করি কি দোষে ছাড়িলে হরি দেখা দেহ বারেক আসিয়া॥ যেখানে যে কৈল লীলা বালকের সঙ্গে খেলা তাহা দেখি ফিরে গোপীগণ। যেঞি তোমা মনে পড়ে ধৈর্য ধরিতে নারে হেন বুঝি হারাই জীবন॥ সেই সে শরৎশশী সদাই থাকিয়ে বসি তোমা রূপ করিএ ধেয়ানে। বিষম পারিতি করি বধিলে আভীর নারী অপযশঃ হইল ভুবনে॥ মলিন বদন সদা কিবা রাত্রি কিবা দিব ফিরে তারা আকুলিত হৈয়া। তুমি নিদারুণ হলে গোপীগণে পাসরিলে সুখে আছ মথুরা আসিয়া। মনের যে দুঃখ যত তাহা বা কহিব কত কহিতে মরমে লাগে ব্যথা। পীরিতে ছাড়িলে ঘর তনু হইল জরজর ভাবিতে গুণিতে গুণ-কথা॥ বার মাসের যত দুঃখ কহিতে বিদরে বুক গুমরি গুমরি উঠে প্রাণ। বিধি কৈল অবলা তাহে সহে এত জাল পরিতি বিষম বলবান॥ 釁 বিরহ-যাতনা-কথা হংসে কহে শ্রীললিতা আপনার বিরহ-কারণ। brQ ○ সংবাদ-প্রদান।