ভাগবত-নরসিংহ দাস-১৭শ শতাব্দী। br○○ ক্ষীর ছানা নবনী দিতাঙ চাদ-মুখে। এই রূপে বিহার করিতাঙ নানা সুখে॥ এই মাঘ মাসেতে কান্দিয়ে দিবা নিশি। আর না শুনিব বাশী কদম্বতলে আসি॥ সুখদ কদম্বতলা কালিন্দীর কুল। প্রাণনাথ বিনে দেখি আন্ধার গোকুল ৷ সেই সে ফাগুন মাসে সর্থী সব সঙ্গে। দিবা নিশি নাহি জানি থাকি নানা রঙ্গে॥ সেই ভ্যাম বন্ধুরে বেঢ়িয়া গোপীগণে। আবির কুসুম চুয়া মুগন্ধি চন্দনে॥ দোলনীতে বসাইয়া দোলায় শু্যাম রায়। কোন কোন গোপী অঙ্গে চামর দুলায়। বীণা আদি নানা যন্ত্র করিয়া সুতান। আনন্দে মাতিয়া গোপী কৃষ্ণগুণ গান ৷ সে সব মুখের দিন ইবে গেল দূরে। ফাল্গুনেতে কিবা করে শুাম মধুপুরে॥ সেই সব লীলারস যেঞি মনে পড়ে। নিভান অনল যেন ফুক দিয়া জালে॥ মধু মাসের কথা কি কহিৰ আর। এই ত দ্বাদশ বনে করিতাঙ বিহার॥ নানা পুষ্প বিকশিত বসন্ত-সময়। নবীন পল্লব তরু নম্রবান হয়। মধুমাসে মত্ত ভৃঙ্গ কোকিলের ধ্বনি। শু্যাম সঙ্গ বিনে আর কিছুই না জানি॥ নানা ফুল তুলি মালা গাথিতাণ্ড সদাই। ইবে মালা কারে দিব কৃষ্ণ হেথা নাঞি। তখন ছিল মধু মাস ইবে পাপ হল্য। কৃষ্ণ বিনে মধুমাস কান্দি গোঙাইল। এই সব কথা হংস কহিয় তাহারে। বিরহিণী রাধা পোড়ে বিরহ-অনলে। বৈশাখের তাপ অঙ্গে সহ নাহি যায়। অগুরু চন্দন আদি দিয়ে শু্যাম গায়॥
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৯৮৫
অবয়ব