ভাগবত—আচু্যত দাস–১৭শ শতাব্দী। bーど> ইহা বলি নন্দঘোষ পত্র আউল্লাইল (১)। বশোদা ও নন্দের — —s পরিতাপ। পড়িয়া মনের তাপে মূৰ্ছিত হইল। কি কি বোল বলিয়া ধাইল সর্ব্বজনি"। চেতন করান নন্দ সভে পুছে বাণী ৷ ডাকিয়া কহেন নন্দ শুনহ অক্ররে। নরসানি (২) কাটারি দিয়া মার আগে মোরে ৷ তবে দুই শিশু লইয়া যাহ তুমি। নিশ্চয় জানিল ইবে মজিলাঙ আমি ৷ যশোদা শুনিঞা ধায় আউড়ে চুলে। কে লব আমার শিশু অভাগ্য কপালে ৷ ক্রোধ দৃষ্টি অক্ররেরে চাহেন যশোমতী। তুমি ছার নিতে চাহ আমার শ্রীপতি॥ তোর কংসরাজ মোর কি করিতে পারে। অধিক হইলে না থাকিমু ব্রজপুরে॥ আমার দুঃখের ধন সেই রাম কানু। কি কার্য্য তাহার সঙ্গে মাঠে রাখে ধেনু॥ আর যত গোকুলে আছিল ব্রজবাল। বালকগণের কাকুতি। অক্রুরে দেখিয়া আইল তৎকাল। কহো তুমি মোর সখা নিঞা যাবে কোথা। না করিহ সাধ মনে মোরা আছো এথা॥ তবেত অক্ররে মোরা কৈলু কাকুবাণী। না লইহ মথুরারে মোর চক্রপাণি ৷ তোমার প্রশংসা মোরা শুনিলু বহুতে। এই নিবেদন করি তোমার পদেতে॥ গোষ্ঠ হইতে রামকৃষ্ণের প্রত্যাবর্তন। সেইত স্বশস্থ ধ্বনি অক্রর শুনিল। প্রেমেতে গদগদ হইঞা দেখিতে চলিল। সঘনে গলিত ধারা দুইত চক্ষুতে। কম্পিত শরীর হইঞা না পারে চলিতে॥ (১) (কংসের পত্র) খুলিল। (২) এক প্রকার কাটারির নাম। প্রাচীন কোন কোন পুথিতে ‘নরসিংহ কাটারি” পাওয়া গিয়াছে।