প্রবেশদ্বার:জীবনী
এই প্রবেশদ্বার অথবা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই প্রবেশদ্বার অথবা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। এই পাতাটির সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন Bodhisattwa (আলাপ | অবদান) ২ বছর আগে। (শোধন) |
ভূমিকা
নির্বাচিত জীবনী
মেরী কার্পেণ্টার নামক জীবনীগ্রন্থটির লেখিকা কুমুদিনী বসু। ইংরেজ সমাজসংস্কারিকা মেরী কার্পেণ্টারের জীবনের ওপর রচিত তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র এসলিন্ কার্পেণ্টারের জীবনীগ্রন্থ অবলম্বনে এই বইটি রচিত হয়েছে। মেরী কার্পেণ্টার ভারতে নারী শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
যে জনহিতৈষিণী, মনস্বিনী মহিলা এই পৃথিবীতে আসিয়া ইহাকে ধন্য ও উন্নত করিয়া গিয়াছেন, যে রমণী-কুলশিরােমণি, পরার্থে আত্মবলিদান এবং জাতি ধর্ম্ম নির্ব্বি-শেষে দশের ও দেশের কল্যাণ-কামনায় জীবনােৎসর্গ করিয়া ত্যাগস্বীকারের জ্বলন্ত-দৃষ্টান্তস্বরূপা ও লােকশিক্ষার আদর্শ-রূপিণী হইয়া রহিয়াছেন, যিনি দীর্ঘকালব্যাপী অজ্ঞান-তিমিরাচ্ছন্না চিরাবরুদ্ধা ভারত ললনাদিগের দুঃখ-দুর্দ্দশার কাহিনী-শ্রবণে দরবিগলিতাশ্রু হইয়া ভারতে আগমনপূর্ব্বক স্ত্রী-শিক্ষা বিস্তারের জন্য প্রভুত ক্লেশ স্বীকার করিয়াছিলেন—সেই প্রাতঃস্মরণীয়া পুণ্যশ্লোকা বরণীয়া রমণীর চরিতালােচনা পরম শিক্ষারস্থল। সেই স্বার্থত্যাগিনী পুণ্যবতী মহিলার কর্ম্মময় জীবনের ঘটনাবলী অধ্যয়ন করিতে করিতে শরীর রােমাঞ্চিত হইয়া উঠে। তাঁহার সঙ্কল্পিত ব্রত উদ্যাপন করিতে যে, কি কঠোর পরিশ্রম, অনন্যসাধারণ ত্যাগ-স্বীকার এবং অলোকসামান্য সহিষ্ণুতা অবলম্বন করিতে হইয়াছিল, তাহা বর্ণনাতীত। সেই পূতচরিত্রা, সংসার-সন্ন্যাসিনী, মহীয়সী মহিলার নাম “মেরী কার্পেণ্টার।”