বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক বিচার/ক্রোড়পত্র

উইকিসংকলন থেকে

ক্রোড়পত্র


 অতি অল্প দিন হইল, শ্রীযুত ক্ষেত্রপাল স্মৃতিরত্ন, শ্রীযুত নারায়ণ বদরত্ন প্রভৃতি এয়োদশ ব্যক্তির স্বাক্ষরিত বহুবিবাহবিষয়ক শাস্ত্রসম্মত বিচার নামে এক পত্র প্রচারিত হইয়াছে। বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়কবিচারনামক পুস্তক প্রচারিত হইবার পরে, ঐ বিচারপত্র আমার হস্তগত হয়। বহুবিবাহ শাস্ত্রসম্মত ব্যবহার, তাহা রহিত হওয়া কদাচ উচিত নহে; সর্ব্বসাধারণের নিকট ইহা প্রতিপন্ন করাই এই বিচারপত্রপ্রচারের উদ্দেশ্য। স্বাক্ষরকারী মহাশয়েরা স্বপক্ষসমর্থনার্থ স্মৃতি ও পুরাণের কতিপয় বচন প্রমাণরূপে উদ্ধৃত করিয়াছেন। তন্মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় প্রমাণ এই;—

১। একামূঢ়া তু কামার্থমন্যাং বোঢ়ুং য ইচ্ছতি।
সমর্থস্তোষয়িত্বার্থৈঃ পূর্ব্বোঢ়ামপরাং বহেৎ।
মদনপারিজাতধৃতস্মৃতিঃ।

যে ব্যক্তি এক স্ত্রী বিবাহ করিয়া রতিকামনায় অন্য স্ত্রী বিবাহ করিতে ইচ্ছা করেন তিনি সমর্থ হইলে পূর্ব্বপরিণীতাকে অর্থ দ্বারা তুষ্টা করিয়া অপর স্ত্রী বিবাহ করিবেন।

২। একৈব ভার্য্যা স্বীকার্য্যা ধর্ম্মকর্ম্মোপযোগিনা।
প্রার্থনে চাতিরাগে চ গ্রাহ্যানেকা অপি দ্বিজ॥
স্বতন্ত্রগার্হস্থ্যধর্ম্মপ্রস্তাবে ব্রহ্মাণ্ডপুরাণম্।

ধর্ম্মকর্ম্মোপযোগী ব্যক্তিদিগের এক ভার্য্যা স্বীকার করা কর্ত্তব্য, কিন্তু উপযাচিত হইয়া কেহ কন্যা প্রদানেচ্ছু হইলে অথবা রতিবিষয়ক সাতিশয় অনুরাগ থাকিলে তাঁহারা অনেক ভার্য্যাও গ্রহণ করিবেন।[১]

 এই দুই প্রমাণদর্শনে, অনেকের অন্তঃকরণে, বহুবিবাহ শাস্ত্রানুগত ব্যাপার বলিয়া প্রতীতি জম্মিতে পারে, এজন্য এতদ্বিষয়ে কিছু বলা আবশ্যক হইতেছে। বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিয়ক বিচার পুস্তকে, দর্শিত হইয়াছে,[২] শাস্ত্রকারেরা বিবাহবিষয়ে চারি বিধি দিয়াছেন, সেই চারি বিধি অনুসারে, বিবাহ ত্রিবিধ নিত্য, নৈমিত্তিক, কাম্য। প্রথম বিধির অনুযায়ী বিবাহ নিত্য বিবাহ; বিবাহ না করিলে, মনুষ্য গৃহস্থাশ্রমে অধিকারী হইতে পারে না। দ্বিতীয় বিধি অনুযায়ী বিবাহও নিত্য বিবাহ; তাহা না করিলে, আশ্রমভ্রংশনিবন্ধন পাতকগ্রস্ত হইতে হয়। তৃতীয় বিধির অনুযায়ী বিবাহ নৈমিত্তিক বিবাহ; কারণ, তাহা স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব চিররোগিত্ব প্রভৃতি নিমিত্ত বশতঃ করিতে হয়। চতুর্থ বিধির অনুযায়ী বিবাহ কাম্য বিবাহ। এই বিবাহ, নিত্য ও নৈমিত্তিক বিবাহের, ন্যায়, অবশ্যকর্ত্তব্য নহে, উহা পুরুষের সম্পূর্ণ ইচ্ছাধীন, অর্থাৎ ইচ্ছা হইলে তাদৃশ বিবাহ করিতে পারে, এইমাত্র। পুত্রলাভ ও ধর্ম্মকার্য্যসাধন গৃহস্থাশ্রমের উদ্দেশ্য। দারপরিগ্রহ ব্যতিরেকে এ উভয় সম্পন্ন হয় না; এই নিমিত্ত, প্রথম বিধিতে দারপরিগ্রহ গৃহস্থাশ্রম প্রবেশের দ্বারস্বরূপ ও গৃহস্থাশ্রমসমাধানের অপরিহার্য উপায়স্বরূপ নির্দিষ্ট হইয়াছে। গৃহস্থাশ্রমসম্পাদনকালে স্ত্রীবিয়োগ ঘটিলে, যদি পুনরায় বিবাহ না করে, তবে সেই দারবিরহিত ব্যক্তি আশ্রমত্রংশনিবন্ধন পাতকগ্রস্ত হয়; এজন্য, ঐ অবস্থায় গৃহস্থ ব্যক্তির পক্ষে পুনরায় দারপরিগ্রহের অবশ্যকর্ত্তব্যতাবোধনার্থে, শাস্ত্রকারের দ্বিতীয় বিধি প্রদান করিয়াছেন। স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব চিররোগিত্ব প্রভৃতি দোষ ঘটিলে, পুত্রলাভ ও ধর্ম্মকার্য্যসাধনের ব্যাঘাত ঘটে; এজন্য, শাস্ত্রকারেরা তাদৃশ স্থলে স্ত্রীসত্ত্বে পুনরায় বিবাহ করিবার তৃতীয় বিধি দিয়াছেন।গৃহস্থাশ্রমসমাধানার্থ শাস্ত্রোক্তবিধানামুসারে সবর্ণাপরিণয়ান্তে, যদি কোনও উৎকৃষ্ট বর্ণ যদৃচ্ছাক্রমে বিবাহে প্রবৃত্ত হয়, তাহার পক্ষে অসবর্ণাবিবাহে অধিকারবোধনার্থ শাস্ত্রকারের চতুর্থ বিধি প্রদর্শন করিয়াছেন; এবং এই বিধি দ্বারা, তাদৃশ ব্যক্তির তথাবিধ স্থলে সবর্ণাবিবাহ একবারে নিষিদ্ধ হইয়াছে।

 স্মৃতিরত্ন, বেদরত্ন প্রভৃতি মহাশয়দিগের অবলম্বিত প্রথম ও দ্বিতীয় প্রমাণে যে বিবাহের বিধি পাওয়া যাইতেছে, তাহা কাম্যবিবাহ; কারণ, প্রথম প্রমাণে, “যে ব্যক্তি এক স্ত্রী বিবাহ করিয়া রতিকামনায় অন্য স্ত্রী বিবাহ করিতে ইচ্ছা করেন", এবং দ্বিতীয় প্রমাণে, “রতিবিষয়ক সাতিশয় অনুরাগ থাকিলে তাঁহারা অনেক ভার্য্যাও গ্রহণ করিবেন”, এইরূপে কাম্য বিবাহের স্পষ্ট পরিচয় প্রদত্ত হইয়াছে। রতিকামনা ও রতিবিষয়ক সাতিশয় অনুরাগবশতঃ যে বিবাহ করা হইবেক, তাহা কাম্য বিবাহ ব্যতিরিক্ত নামান্তর দ্বারা উল্লিখিত হইতে পারে না। মনু কাম্যবিবাহস্থলে অসবর্ণবিবাহের বিধি দিয়াছেন, এবং সেই বিধি দ্বারা তথাবিধ স্থলে সবর্ণাবিবাহ একবারে নিষিদ্ধ হইয়াছে। সুতরাং স্মৃতিরত্ন, বেদরত্ন প্রভৃতি মহাশয়দিগের অবলম্বিত প্রথম ও দ্বিতীয় প্রমাণ দ্বারা ইহাই প্রতিপন্ন হইতেছে, যে ব্যক্তি, সবর্ণাবিবাহ করিয়া, রতিকামনায় পুনরায় বিবাহ করিতে উদ্যত হয়, সে অসবর্ণ বিবাহ করিতে পারে; নতুবা যদৃচ্ছাক্রমে বিবাহপ্রবৃত্ত ব্যক্তি, রতিকামনা পূর্ণ করিবার নিমিত্ত, পূর্ব্বপরিণীতা সজাতীয় স্ত্রীর জীবদ্দশায়, পুনরায় সজাতীয়া বিবাহ করিবেক, ইহা কোনও ক্রমে প্রতিপন্ন হইতে পারে না। মদনপারিজাতধৃত স্মৃতিবাক্যে ও ব্রহ্মাণ্ডপুরাণবচনে সামান্যাকারে কাম্যবিবাহের বিধি আছে, তাদৃশবিবাহাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তি সবর্ণা বা অসবর্ণা বিবাহ করিবেক, তাহার কোনও নির্দ্দেশ নাই। মনু কাম্য- বিবাহের বিধি দিয়াছেন, এবং তাদৃশবিবাহাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তি অসবর্ণা বিবাহ করিবেক, স্পষ্টাক্ষরে নির্দ্দেশ করিয়াছেন। এমন স্থলে, মনুবাক্যের সহিত একবাক্যতা সম্পাদন করিয়া, উল্লিখিত স্মৃতিবাক্য ও পুরাণবাক্যকে অসবর্ণাবিবাহবিষয়ক বলিয়া ব্যবস্থা করাই প্রকৃত শাস্ত্রার্থ, সে বিষয়ে কোনও অংশে কিছুমাত্র সংশয় বা আপত্তি হইতে পারে না। অতএব, ঐ দুই প্রমাণ অবলম্বন করিয়া, যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ড শাস্ত্রসম্মত ব্যবহার, ইহা প্রতিপন্ন করতে চেষ্টা করা নিতান্ত নিষ্ফল প্রয়াসমাত্র।

 স্মৃতির, বেদরত্ন প্রভৃতি মহাশয়দিগের অবলম্বিত তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, অষ্টম, নবম ও দশম প্রমাণ অসবর্ণাবিবাহবিষয়ক বচন। অসবর্ণা বিবাহব্যবহার কলিযুগে রহিত হইয়াছে; সুতরাং, এ স্থলে, তদ্বিষয়ে কিছু বলিবার প্রয়োজন নাই। তাঁহাদের অবলম্বিত অবশিষ্ট প্রমাণে এক ব্যক্তির অনেক স্ত্রী বিদ্যমান থাকার উল্লেখ আছে, কিন্তু তদ্বারা যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ড শাস্ত্রসম্মত বলিয়া প্রতিপন্ন হইতে পারে না। ঐ সকল প্রমাণ সর্ব্বাংশে পরম্পর এত অনুরূপ যে একটি প্রদর্শিত হইলেই, সকলগুলি প্রদর্শিত করা হইবেক। এজন্য, এস্থলে তন্মধ্যে একটি প্রমাণ উদ্ধৃত হইতেছে;—

৭। সর্ব্বাসামেকপত্নীনামেকা চেৎ পুত্রিণী ভবেৎ।
সর্ব্বাস্তেন্তেন পুত্রেণ প্রাহ পুত্রবতীর্ম্মনুঃ॥ মনুঃ

স্বজাতীয় বহু স্ত্রীর মধ্যে যদি একটি স্ত্রী পুত্রবতী হয়; তবে সেই পুত্র দ্বারা সকল স্ত্রীকেই মনু পুত্রবতী কহিয়াছে।

 এই মনুবচনে অথবা এতদনুরূপ অন্যান্য মুনিবচনে এরূপ কিছুই নির্দিষ্ট নাই যে তদ্দ্বারা শাস্ত্রোক্ত নিমিত্ত ব্যতিরেকে লোকের ইচ্ছাধীন বহুভার্য্যাবিবাহ প্রতিপন্ন হইতে পারে। উল্লিখিত বচনসমূহে যে বহুভার্য্যাবিবাহের পরিচয় পাওয়া যাইতেছে, তাহা অধিবেদনের নির্দ্দিষ্ট নিমিত্তনিবন্ধন, তাহার সন্দেহ নাই[৩]। ফলকথা এই, যখন শাস্ত্রকারেরা কাম্যবিবাহস্থলে কেবল অসবর্ণাবিবাহের বিধি দিয়াছেন, যখন ঐ বিধি দ্বারা, পূর্ব্বপরিণীতা স্ত্রীর জীবদ্দশায়, যদৃচ্ছাক্রমে সবর্ণাবিবাহ সর্ব্বতোভাবে নিষিদ্ধ হইয়াছে, যখন উল্লিখিত বহুবিবাহসকল অধিবেদনের নির্দিষ্ট নিমিত্ত বশতঃ ঘটা সম্পূর্ণ সম্ভব হইতেছে, তখন যদৃচ্ছাক্রমে যত ইচ্ছা বিবাহ করা শাস্ত্রকারদিগের অনুমোদিত কার্য্য, ইহা কোনও মতে প্রতিপন্ন হইতে পারে না। বস্তুতঃ, যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ড শাস্তানুগত ব্যবহার নহে। আর, তাদৃশ বহুবিবাহকাণ্ড ন্যায়ানুগত ব্যবহার কি না, সে বিষয়ে কিছু বলা নিতান্ত নিম্প্রয়োজন। বহুবিবাহ যে অতিজঘন্য, অতিনৃশংস ব্যবহার, কোনও মতে ন্যায়ানুগত নহে, তাহা, যাঁহাদের সামান্যরূপ বুদ্ধি ও বিবেচনা আছে, তাঁহারাও অনায়াসে বুঝিতে পারেন। ফলতঃ, যে মহাপুরুষেরা স্বয়ং বহুবিবাহপাপে লিপ্ত, তদ্ব্যতিরিক্ত অন্য কোনও ব্যক্তি বহুবিবাহব্যবহারের রক্ষাবিষয়ে চেষ্টা করিতে পারেন, অথবা অন্য কেহ বহুবিবাহপ্রথা নিবারণের উদ্যোগ করিলে, দুঃখিত হইতে পারেন, কিংবা তাহানিবারিত হইলে, লোকের ধর্ম্মলোপ বা দেশের সর্বনাশ হইল মনে ভাবিতে পারেন, এত দিন আমার সেরূপ বোধ ছিল না। বলিতে কি, স্মৃতিরত্ন, বেদরত্ব প্রভৃতি মহাশয়দিগের অধ্যবসায় দর্শনে, আমি বিস্ময়াপন্ন হইয়াছি। বহু বিবাহ নিবারণের চেষ্টা হইতেছে দেখিয়া, তাহারা সাতিশয় দুঃখিত.ও বিলক্ষণ কুপিত হইয়াছেন, এবং ধর্ম্মরক্ষিণীসভার অধ্যক্ষেরা এ বিষয়ে চেষ্টা করিতেছেন বলিয়া, তাহাদের প্রতি স্বেচ্ছাচারী, শাস্ত্রানভিজ্ঞ, কুটিলমতি, অপরিণামদর্শী প্রভৃতি কটুক্তি প্রয়োগ করিয়াছেন। আমার বোধে, এই ভাবে এই বিচারপত্র প্রচার করা স্মৃতিরত্ন, বেদরত্ব প্রভৃতি মহাশয়দিগের পক্ষে সুবোধের কার্য্য হয় নাই।

 অনেকের মুখে শুনিতে পাই, তাঁহারা কলিকতাস্থ রাজকীয় সংস্কৃতবিদ্যালয়ের ব্যাকরণশাস্ত্রের অধ্যাপক শ্রীযুত তারানাথ তর্ক বাচস্পতি ভট্টাচার্য্য মহাশয়ের পরামর্শে, সহায়তায় ও উত্তেজনায় বহুবিবাহবিষয়ক শাস্ত্রসম্মত বিচারপত্র প্রচার করিয়াছেন। কিন্তু সহসা এ বিষয়ে বিশ্বাস করিতে প্রবৃত্তি হইতেছে না। তর্কবাচস্পতি মহাশয় এত অনভিজ্ঞ নহেন যে, এরূপ অসমীচীন আচরণে দূষিত হইবেন। পাঁচ বৎসর পূর্ব্বে, যখন বহুবিবাহনিবারণপ্রার্থনায়, রাজদ্বারে আবেদন করা হয়; সে সময়ে তিনি এ বিষয়ে বিলক্ষণ অনুরাগী ছিলেন, এবং স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া, নিরতিশয় আগ্রহ ও উৎসাহ সহকারে, আবেদনপত্রে নাম স্বাক্ষর করিয়াছেন। এক্ষণে তিনিই আবার, বহুবিবাছরক্ষণপক্ষ অবলম্বন করিয়া, এই লজ্জাকর, ঘৃণাকর, অনর্থকর, অধর্ম্মকর ব্যবহারকে শাস্ত্রসম্মত বলিয়া প্রতিপন্ন করিতে প্রয়াস পাইবেন, ইহা সম্ভব বোধ হয় না।

শ্রীঈশ্বরচন্দ্র শর্ম্মা।

কাশীপুর।

২৪ এ শ্রাবণ। সংবৎ ১১২৮।

  1. স্মৃতিরত্ন, বেদরত্ন প্রভৃতি মহাশয়েরা, যেরূপ পাঠ ধরিয়াছেন ও যেরূপ ব্যাখ্যা করিয়াছেন তাহাই পরিগৃহীত হইল। আমার বিবেচনায় স্থিতীয় প্রমাণের প্রথমার্দ্ধে পাঠের ব্যতিক্রম হইয়াছে, সুতরাং ব্যাখ্যাও বৈলক্ষণ্য ঘটিয়াছে। বোধ হয়, প্রকৃত পাঠ এই;—

    একৈর ভার্য্যা স্বীকার্য্যা ধর্ম্মকর্মোপযোগিনী।

    ধর্মকর্মের উপযোগিনী এক ভার্য্যা বিবাহ করা কর্তব্য।
  2. ৫ পৃষ্ঠ হইতে ১০ পৃষ্ট পর্য্যন্ত দেখ।
  3. বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার পুস্তকের ১০ পৃষ্ঠ অবধি ১৪ পৃষ্ঠ পর্য্যন্ত দেখ।