যাঁদের দেখেছি/একুশ

উইকিসংকলন থেকে

একুশ

 সেকালের এক ভারতীয় রাজার নাম ছিল অজাতশত্রু। এমন নামের মানে হয় না। কারণ তখন প্রতিবেশী রাজাদের রাজ্য আক্রমণ ক’রে নিজের রাজ্যের আয়তন বৃদ্ধি করাই ছিল রাজধর্ম। সুতরাং শত্রু ছিল প্রত্যেক রাজারই।

 কিন্তু সাহিত্যজগতে আমি এমন একাধিক ব্যক্তিকে দেখেছি, সত্যসত্যই যাঁদের উপাধি হ’তে পারে ‘অজাতশত্রু’। যেমন সুধীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যেমন জলধর সেন

 জলধর সেন ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমবয়সী। উভয়েরই জন্ম ১২৬৮ বঙ্গাব্দে। সুতরাং বয়সে তিনি অধিকাংশ আধুনিক সাহিত্যিকেরই পিতা বা পিতামহের মত ছিলেন। কিন্তু কারুর কাছ থেকেই তিনি সে-রকম মর্যাদা লাভ করতে চাইতেন না। বয়সে ছেলে বা নাতির মত ব’লে কেউ যে তাঁকে সমীহ ক’রে তফাতে তফাতে থাকে, এটা তিনি মোটেই পছন্দ করতেন না। প্রায় সমবয়স্কের মত সকলের সঙ্গে মেলামেশা করাই ছিল তাঁর স্বভাব। বয়সে যত ছোটই হোক্, সকলকেই আদর ক’রে পাশে টেনে নিতেন, ‘ভাই’ ব’লে ডাকতেন, মিষ্ট কথা বলতেন। এজন্যে তিনি হয়ে পড়েছিলেন ‘সরকারি দাদা’। পিতারাও তাঁকে ‘জলধরদাদা’ ব’লে ডাকতেন এবং তাঁদের ছেলেদেরও কাছে তিনি ছিলেন ‘জলধরদা’। বলা বাহুল্য তিনি ছিলেন আমারও ‘দাদা’।

 পত্নীবিয়োগের পর অনেকেরই মনে যৌবনেই বৈরাগ্যের উদয় হয়। তার ফলে সাহিত্য লাভবান হয় মাঝে মাঝে। রবীন্দ্রনাথের স্মরণ”অক্ষয়কুমার বড়ালের “এষা” প্রভৃতি কাব্যপুঁথি পত্নীবিয়োগেরই ফল। এখানে প্রসঙ্গক্রমে একটা কথা মনে পড়ছে। অক্ষয়কুমার যখন “এষা” রচনায় নিযুক্ত, তখন একদিন আমাকে বললেন, ‘দেখ হেমেন্দ্র, কবি টেনিসনের মন যে মানুষের মত মরমী ছিল “ইন্‌ মেমোরিয়াম” (বন্ধুবিয়োগে রচিত) পাঠ করলে তা বুঝতে বিলম্ব হয় না। কিন্তু রবিবাবুর মন বড় কঠিন, আত্মীয়বিয়োগেও তিনি ব্যথা পান না।’

 আমি জিজ্ঞাসা করলুম, ‘এ কথা কেন বলছেন?’

 —‘স্ত্রীর মৃত্যুতে তিনি যে ব্যথা পেয়েছেন, তাঁর কাব্যের ভিতরে এমন প্রমাণ নেই।’

 আমি “স্মরণ” কবিতাগুচ্ছের উল্লেখ করলুম।

 তিনি বললেন, ‘টেনিসনের “ইন্‌ মেমোরিয়ামে”র কাছে “স্মরণ” উল্লেখযোগ্যই নয়। একখানা চটি বই— অকিঞ্চিৎকর।’

 আমি বললুম, ‘হাটের মাঝে ভালো ক’রে শোক জাহির করবার জন্যে মস্ত মস্ত শোককাব্য রচনা করতে হবে, এমন কোন কথা নেই। “স্মরণে”র মধ্যে সাতাশটি মর্মস্পর্শী কবিতা আছে। “নৈবেদ্যে”র মধ্যেও রবীন্দ্রনাথের ঐ শ্রেণীর আরো কবিতা আছে। তাই-ই যথেষ্ট নয় কি?’

 অক্ষয়কুমার জবাব দিলেন না। মুখ দেখে বুঝলুম, অসন্তুষ্ট হলেন। পরেও তাঁর মুখে ঐরকম কথা শুনেছি।

 যাক্, যা বলছিলুম। পত্নীবিয়োগের পর শোককাতর হয়ে চন্দ্রশেখর মুখোপাধ্যায় “উদ্ভ্রান্ত প্রেম” রচনা ক’রে বাংলা সাহিত্যে বিখ্যাত হয়েছিলেন। জলধরবাবুর সব চেয়ে বিখ্যাত পুস্তক হচ্ছে “হিমালয়”। তাও মুখ্য ভাবে না হোক্, গৌণ ভাবেই পত্নীবিয়োগেরই ফল। স্ত্রীর মৃত্যুর পর মনে বৈরাগ্যের উদয় হওয়াতে তিনি সন্ন্যাসীর বেশে হিমালয়ের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। সেই ভ্রমণকাহিনীই পরে “হিমালয়” ও “পথিক” প্রভৃতি নামে প্রকাশিত হয়।

 প্রথম শোকের ধাক্কা সামলে নিয়ে চন্দ্রশেখর মুখোপাধ্যায় আবার বিবাহ করেছিলেন এবং “উদ্ভ্রান্ত প্রেমে”র মত আর কোন গদ্যকাব্য রচনা করেন নি। জলধরবাবুও দেশে ফিরে দ্বিতীয় বিবাহ ক’রে সংসারী হয়েছিলেন।

 জলধরবাবুর দেশ হচ্ছে কুমারখালি। তিনি সাহিত্যচর্চাও করেছেন অল্পবয়স থেকেই। তাঁর সাংবাদিক জীবনের সূত্রপাতও পল্লীগ্রামেই। প্রথমে তিনি “গ্রামবার্তা”র সম্পাদক হন, তারপর সারাজীবনই সম্পাদকীয় কর্তব্য পালন করেছেন। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে “বসুমতী”, “হিতবাদী”, “সুলভ সমাচার” ও “ভারতবর্ষ” পত্রিকা।

 জলধরবাবুর লেখনী ছিল বড় মিষ্ট, বড় দরদী; তাই অতি অনায়াসেই পাঠকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তার সম্বন্ধ স্থাপন করতে পারত। স্বচ্ছ, সরল, সরস ভাষা—যেন সোজা তাঁর প্রাণের ভিতর থেকেই বেরিয়ে এসে ঝ’রে পড়ত লেখনীমুখ দিয়ে, কোনরকম কৃত্রিমতার ধার না ধেরেই। বাংলা সাহিত্যে আগে সত্যিকার ভ্রমণকাহিনীর বড়ই অভাব ছিল। আগে যাঁরা ভ্রমণকাহিনী লিখতেন, তাঁরা ভ্রমণকাহিনী রচনার আর্ট জানতেন না (যেমন এখনো অনেকেই জানেন না)। অবশ্য রবীন্দ্রনাথের “য়ুরোপযাত্রী” এবং অন্যান্য দু-একজনের রচনায় এর ব্যত্যয় দেখা গেছে বটে। কিন্তু জলধরবাবুর প্রসাদগুণে পরিপূর্ণ দরদী ভাষায় হিমালয়ের ভ্রমণকাহিনীগুলি যখন মাসিক পত্রিকায় প্রকাশিত হ’তে লাগল, পাঠকসমাজ তা গ্রহণ করলে সাগ্রহ আনন্দে। তার আগে আর কোন ভ্রমণকাহিনী এত আদর পায় নি, এত লোকপ্রিয় হয় নি। সেই সময়েই তিনি সাহিত্যক্ষেত্রে লাভ করেন নিজের ন্যায্য আসন।

 কিন্তু কেবল ভ্রমণকাহিনী নয়, ছোটগল্প রচনাতেও প্রকাশ পেত তাঁর যথেষ্ট মুনশীয়ানা। এক্ষেত্রে তাঁর আন্তরিকতাপূর্ণ ভাষা পাঠকদের আকৃষ্ট করত তো বটেই, তার উপরে বোঝা যেত, ছোটগল্পের আর্টও তাঁর ভালোরকমই জানা আছে। তিনি উপন্যাসও রচনা করেছেন, সেগুলির বিষয়বস্তু হয়তো বিশেষ উল্লেখযোগ্য নয়, তাদের মধ্যে হয়তো যথেষ্ট মনীষার পরিচয় পাওয়া যায় না, কিন্তু ভাষার গুণে ও বর্ণনাভঙ্গির জন্যে সেগুলিও অর্জন করেছে অসাধারণ জনপ্রিয়তা। তাঁর কোন কোন উপন্যাসের চাহিদা শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাসেরও চেয়ে কম হয় নি। যেমন “অভাগী”।

 সাপ্তাহিক বহুমতীর কার্যালয় যখন গ্রে স্ট্রীটে এবং আমার একটি কি দুটি রচনা যখন সবে মাসিক কাগজে প্রকাশিত হয়েছে, তখনই তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়। সে বোধ হয় প্রায় চার যুগ আগের কথা। কেউ আমাকে পরিচিত ক’রে দেয় নি, নিজেই গিয়ে পরিচিত হয়েছি। তাঁর ভ্রমণকাহিনীগুলি পাঠ ক’রেই তাঁকে আমার চোখে দেখবার ইচ্ছা হয়েছিল। ঠিক তারই আগে তাঁর বিশেষ বন্ধু দীনেন্দ্রকুমার রায়ের সঙ্গে গায়ে প’ড়ে আলাপ করতে গিয়ে কি ভাবে বিড়ম্বিত হয়েছিলুম পূর্বে সূত্রপাতেই তা বলেছি। সুতরাং তাঁর কাছে গিয়ে কি-রকম অভ্যর্থনা লাভ করব, সে বিষয়ে মনে মনে ছিল যথেষ্ট সন্দেহও।

 তখন তিনি সাপ্তাহিক বসুমতীর সম্পাদক। বসুমতী কার্যালয়ে প্রবেশ ক’রে সিঁড়ি দিয়ে দোতালায় উঠে দেখলুম, সামনের ঘরেই টেবিলের ওপাশে ব’সে আছেন জলধরবাবু। দেখেই চিনলুম, কারণ পত্রিকায় তাঁর ছবি দেখেছি। মাথায় মাঝারি, দোহারা চেহারা, কৃষ্ণবর্ণ। মুখে দাড়ী-গোঁফ এবং একটি চুরুট।

 ধীরে ধীরে ঘরের ভিতর গিয়ে দাঁড়াতেই তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কাকে চান?’

 —‘আজ্ঞে, আমি আপনার কাছেই এসেছি।’

 —‘কিছু দরকার আছে?’

 —‘আপনার সব লেখাই পড়েছি, কিন্তু আপনাকে চোখে দেখি নি। তাই এসেছি।’

 তিনি একটুখানি হেসে বললেন, ‘বসুন।’

 বসলুম। আরো দু-চারটে কথাবার্তা হ’ল, সব কথা এতদিন পরে মনে পড়ছে না। তবে এইটুকু বেশ মনে আছে, তাঁর বিনীত ও মিষ্ট ব্যবহারে পরম আপ্যায়িত হয়ে বাড়ী ফিরে এসেছিলুম।

 তারপর তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে অসংখ্য বার। যখন যেখানে বাসা বেঁধেছেন, সেখানেই গিয়ে তাঁর সঙ্গে আলাপ করেছি এবং প্রতি বারেই ফিরে এসেছি মনের ভিতর খানিকটা সুমধুর প্রীতির ভাব নিয়ে। তিনি পরনিন্দাও করতেন না, কারুকে ছোট করতেও চাইতেন না এবং তাঁর ভাবভঙ্গিভাষায় কোনদিনই আমি এতটুকু হমবড়া ভাব লক্ষ্য করি নি, বরং অন্য কোন লেখককে প্রশংসা করবার সুযোগ পেলে তিনি হ’তেন যারপরনাই আনন্দিত। একটা দৃষ্টান্ত দি।

 কবিবর সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত যখন স্বর্গত হন, আমি তখন অশ্রান্ত ভাবে কবিতা রচনা করছি। সেই সময়ে বৈদ্যবাটী যুবক-সমিতি আমাকে অভিনন্দন দেবার জন্যে এক সভার আয়োজন করেন, সভাপতি ছিলেন শিল্প তথা সাহিত্যের আচার্য অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বহু বিখ্যাত সাহিত্যিক সভায় যোগদান করেছিলেন। জলধরবাবু বক্তৃতা দিতে উঠে বললেন, ‘সত্যেন্দ্রনাথ আজ পরলোকে। কিন্তু আমার মনে হয়, হেমেন্দ্রকুমারের কবিতার ভিতর দিয়ে আবার তিনি আত্মপ্রকাশ করছেন’ প্রভৃতি। আমি তো লজ্জাসঙ্কোচে মাথা হেঁট করলুম। অবনীন্দ্রনাথ চুপিচুপি আমার কানে কানে বললেন, ‘ও হেমেন্দ্র! জলধরবাবু বলেন কি হে? সত্যেন্দ্রনাথের প্রেতাত্মা নাকি তোমার উপরে ভর করেছে? দেখো, খুব, সাবধান!’

 একদিন জলধরবাবুর বাড়ীতে ঢুকেই দেখি, বৈঠকখানায় তিনি ব’সে আছেন একলাটি। আমার হাতে সিগারেট ছিল, ফেলে দিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকলুম। সেটা তিনি লক্ষ্য করলেন। বললেন, ‘ভায়া, আমার মত বার্মা চুরুট ধর না কেন?’

 বললুম, ‘দাদা, ওর কালো রং আর কড়া আকার দেখলে ভয় হয়। টান দিয়ে হয়তো সামলাতে পারব না।’

 তিনি বললেন, ‘না হে, না। তোমার ভয় অমূলক। বার্মা চুরুটের ধোঁয়া সিগারেটের চেয়ে মিষ্টি আর নরম। এই নাও, আমার সামনেই পরীক্ষা ক’রে দেখ।’ ব’লেই আমার হাতে গুঁজে দিলেন একটা চুরুট।

 বিলাতের চার্চিল সায়েব নাকি চুরুটের প্রেমে মশগুল; জলধরবাবুও ছিলেন তাই। সর্বদাই চুরুটের সঙ্গে সঙ্গে তিনি হ’তেন দৃশ্যমান। আজও চুরুট দেখলে তাঁর কথাই আমার মনে পড়ে এবং তাঁর কথা ভাবলে মনে পড়ে চুরুটের কথা।

 জলধরবাবুর এক ছেলের বিয়ে। আমার সাহিত্যিক বন্ধুরা নিমন্ত্রিত হয়েছেন, কিন্তু আমি হই নি। নিমন্ত্রণের জন্যে কোনদিনই আমি লুব্ধ নই, বহু ঘনিষ্ঠ বন্ধুর নিমন্ত্রণ রক্ষা না ক’রে বারংবার তিরস্কৃত হয়েছি। কিন্তু সে দিন আমার মাথায় জাগল দুষ্টবুদ্ধি। স্থির করলুম, অনাহূত হয়েই জলধরবাবুর বাড়ীতে গিয়ে তাঁকে বেশ খানিকটা অপ্রতিভ ক’রে আসব। বলা বাহুল্য, মাটির মানুষ জলধরদা ছাড়া আর কোন দাদা বা কাকা বা জ্যাঠার বাড়ীতে আমি এমন রবাহূতের মত গমন করতে পারতুম না। যথাসময়ে যথাস্থানে গিয়ে হাজির। জলধরবাবুর সঙ্গে দেখা। বললুম, ‘দাদা, আপনি আমাকে ভুলতে পারেন, কিন্তু আমি আপনাকে ভুলতে পারলুম না লুচি-মণ্ডা খেতে এসেছি বিনা নিমন্ত্রণেই।’

 জলধরবাবু একটুও অপ্রস্তুত হ’লেন না, হো-হো রবে উচ্চহাস্য ক’রে প্রায় আমাকে আলিঙ্গন করেন আর কি! তারপর ত্রুটিস্বীকার ক’রে বললেন, ‘ভুল হয়ে গেছে ভায়া, ভুল হয়ে গেছে। কিন্তু তুমি এসেছ ব’লে বড় সুখী হয়েছি, বড় সুখী হয়েছি।’

 এমনি আরো কত গল্প আছে। কিন্তু বেশী গল্প বলবার জায়গা কোথায়?

 এমন মানুষের পিছনেও লোকে লাগতে ছাড়ে নি। যে-সে লোক নয়, তাঁর পরম বন্ধু এবং ছাত্র দীনেন্দ্রকুমার রায় পর্যন্ত। জীবনসন্ধ্যায় যখন মহাপ্রস্থানের সময় প্রায় আগত, ছাপার হরফে দীনেন্দ্রবাবু রটিয়ে দিলেন, জলধরবাবুর “হিমালয়ে”র লেখক হচ্ছেন তিনিই। কিন্তু এ যে কত-বড় মিথ্যাকথা, লোকের তা বুঝতে বিলম্ব হয় নি। “হিমালয়ে”র মধ্যেই আছে তার আভ্যন্তরিক প্রমাণ। জলধরবাবুর একটি সম্পূর্ণ নিজস্ব ‘ষ্টাইল’ ছিল, দীনেন্দ্রকুমারের ‘ষ্টাইলে’র সঙ্গে যার কিছুমাত্র মিল নেই। সাহিত্যিকদের ‘ষ্টাইল’ হচ্ছে তাঁদের স্বাক্ষরেরই সমান, বিশেষজ্ঞদের চক্ষে তা ধরা পড়বেই। আসলে বন্ধুর খ্যাতি, তাঁর প্রতিষ্ঠা, রাজদ্বারে তাঁর সম্মান দেখে প্রায়-নির্বাপিত দীনেন্দ্রবাবুর মনে জেগে উঠেছিল দারুণ ঈর্ষা।

 জলধরবাবুকে আরো কেউ কেউ আঘাত করতে চেয়েছে—নিতান্ত গায়ে প’ড়েই। তিনি অজাতশত্রু ছিলেন, কিন্তু ‘দুরাত্মার ছলের অভাব নেই।’ এঁদের লক্ষ্য ক’রে বিখ্যাত সাহিত্যিক চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় একখানি পত্রে লিখেছিলেন: ‘জলধরবাবুর মত সজ্জনকে যারা অপদস্থ কতে চায়, তাদের ভগবান ক্ষমা করুন।’