যাঁদের দেখেছি/বাইশ

উইকিসংকলন থেকে

বাইশ

 সারাদিন একান্তভাবে সাহিত্যচর্চার পর সন্ধ্যার পর মন চাইত খানিকটা ছুটি পেতে। তাই এখানে-ওখানে যেখানেই গানবাজনার আসর বসত, প্রায়ই সেখানে গিয়ে হাজিরা দিয়ে আসতুম। মনের ছুটিকে সার্থক ক’রে তুলতে সঙ্গীতের মত আর জুড়ি নেই।

 ওস্তাদ করমতুল্লা খাঁ সাহেবের প্রসঙ্গেই বলেছি, আমার স্বর্গীয় বন্ধুবর নরেন্দ্রনাথ বসুর দর্জিপাড়ার বাড়ীতে প্রতি শনিবার সন্ধ্যাকালে বসত গান-বাজনার একটি চমৎকার বৈঠক। সেখানে কেবল করমতুল্লা খাঁয়ের সরোদের সঙ্গেই প্রথম পরিচিত হই নি, অন্ধগায়ক কৃষ্ণচন্দ্র দে-র গানও প্রথমে সেখানেই শুনেছিলুম। আর একজন গুণীও সেখানে আমাকে অবাক ক’রে দিয়েছিলেন। তিনি হচ্ছেন গয়ার বিখ্যাত ওস্তাদ হনুমানপ্রসাদের পুত্র সোনিজী। হারমোনিয়ম তো সবাই বাজায়, কিন্তু হারমোনিয়মের ধ্বনিতরঙ্গের মধ্যে কি বিচিত্র ইন্দ্রজাল যে আত্মগোপন ক’রে আছে, তা তেমনভাবে প্রকাশ করতে আর কারুকে দেখি নি। উচ্চতর ওস্তাদসমাজে হারমোনিয়ম কতকটা অবজ্ঞেয় হয়ে আছে। কিন্তু যথার্থ গুণীর হাতে পড়লে সেও করতে পারে অনুপম সৌন্দর্যসৃষ্টি। প্রায় চল্লিশ-বিয়াল্লিশ বৎসর আগে বিখ্যাত উকীল ও সাহিত্যিক শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র গুপ্ত ও কবি শ্রীযুক্ত ফণীন্দ্রনাথ রায় প্রভৃতির সঙ্গে শান্তিপুরে গিয়ে হারমোনিয়মের আর এক বাঙালী শিল্পীর সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলুম। তাঁর ডাকনাম ছিল বোধ করি বীণবাবু, তিনি কলকাতার হ্যারিসন রোডের বিখ্যাত ওস্তাদ শ্যামলালবাবুর শিষ্য। তিনিই প্রথমে আমাকে বুঝিয়ে দেন, হারমোনিয়মও অসামান্য হয়ে উঠতে পারে। করমতুল্লা খাঁয়ের ভ্রাতুষ্পুত্র রফিক খাঁও আর একজন অসাধারণ হারমোনিয়ম-বাদক।

 নরেন্দ্রনাথের বৈঠকেই সর্বপ্রথমে গায়ক জমীরুদ্দীন খাঁ ও তবলা-বাদক দর্শন সিংকে দেখি।

 এই দর্শন সিংও ছিলেন একজন উচ্চশ্রেণীর শিল্পী। তবলায় তাঁর হাতের বোল সৃষ্টি করত অপূর্ব মাধুর্য। তিনি করমতুল্লা খাঁয়ের সরোদের সঙ্গে এবং জমীরুদ্দীন খাঁয়ের গানের সঙ্গে সঙ্গত করতেন। কিন্তু তারের যন্ত্রের সঙ্গে তাঁর তবলা বাজত যে সুরে ও যে চালে, কণ্ঠ-সঙ্গীতের সময়ে বদলে যেত তার সুর ও চাল।

 জমীরুদ্দীনের রংটি কালো হ’লেও দেহখানি ছিল সুঠাম ও মুখখানিও সুদর্শন এবং সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল তাঁর ভাবমধুর চোখদুটি— রীতিমত প্রেমিকের চোখ। গানের সময়ে সেই চোখ দুটির ভিতর দিয়েও দেখা যেত বিভিন্ন ভাবের অভিব্যক্তি।

 চমৎকার ঠুংরি গাইলেন তিনি, ভিজিয়ে দিলেন মন সুরধারাপাতে। অপূর্ব গানের গলা, গাম্ভীর্যে ভরপূর হ’তেও পারে, আবার পেলবতায় তরল হয়েও আসে। তান, মাড়, গিটকিরি কিছুরই অভাব নেই এবং সবই অভিব্যক্ত হয় উচ্চশ্রেণীর শিল্পীর দরদের ভিতর দিয়ে। হলুম মুগ্ধ।

 তারপর তাঁর ঘন ঘন দেখা পেতে লাগলুম আমার আর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও বিশ্ববিখ্যাত মল্লযোদ্ধা শ্রীযুক্ত যতীন্দ্র গুহ বা গোবরবাবুর বৈঠকে। সেখানে যাঁরা আসনগ্রহণ করতেন তাঁদের অধিকাংশই সঙ্গীতবিদ, পালোয়ান বা অন্য শ্রেণীর লোক, সাহিত্যিকদের মধ্যে থাকতুম কেবল আমি ও প্রেমাঙ্কুর (আতর্থী)।

 ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধ’রে চলত জমীরুদ্দীনের গান ও দর্শন সিংয়ের তবলা। রাতের পর রাত এই ব্যাপার। রাত যত গভীর হয়, গান তত জ’মে ওঠে। জমীরুদ্দীনের গানের ভাণ্ডার যেন অফুরন্ত, প্রতি রাত্রেই শুনি নূতন নূতন গান— খেয়াল, ঠুংরি, টপ্পা, গজল, ভজন। তাঁর কণ্ঠও যেন শ্রান্ত হ’তে শেখে নি। তারপর মধ্যরাত্রে গানের পালা থামিয়ে করমতুল্লা খাঁ যেদিন আবার সরোদ ধারণ ক’রে বাজাবার জন্যে প্রস্তুত হ’তেন, মনে মনে আমরা প্রমাদ গুণতুম। বেশ বুঝতুম, সেদিন বাড়ীতে ফিরতে ফিরতেই হয়তো ভোরের পাখীর নিদ্রাভঙ্গ হবে। কারণ খাঁ-সাহেব বীণা ধরবার পর কেউ আসর ত্যাগ করলে মনে মনে তিনি অত্যন্ত আহত হ’তেন। একদিন আমাকে প্রস্থানোদ্যত দেখে তিনি আমার হাত চেপে ধ’রে বন্দী করেছিলেন, সে গল্প তাঁর প্রসঙ্গে আগেই বলেছি।

 দিনে দিনে জমীরুদ্দীনের সঙ্গে আমার আলাপ একটু একটু ক’রে জ’মে উঠতে লাগল। তিনি বাঙালী মুসলমান ছিলেন না, বাংলা বর্ণপরিচয়ও বোধ করি হয় নি, তবে বহুকাল এদেশে বাস ক’রে বলতে শিখেছিলেন। উচ্চারণে কিছু কিছু ভুল হ’ত বটে, কিন্তু মনের ভাব ব্যক্ত করতে তাঁর অসুবিধা হ’ত না।

 নরেনবাবুর বৈঠক আগেই উঠে গিয়েছিল, কিছুদিন পরে গোবরবাবুর আসরও ভেঙে গেল। এইরকমই তো হামেসা হয়। এক আসর উঠে যায়, আবার নূতন আসরের পত্তন হয়। কিন্তু ঐ দু’টি আসরের অভাব পূরণ করতে পারে, আজকাল এমন কোন আসরের নাম শুনতে পাই না।

 কয়েক বৎসর কেটে যায়। জমীরুদ্দীনের দেখা বা সাড়া পাই না। এর-তার মুখে খবর পাই, অমুক অমুক ব্যক্তি জমীরুদ্দীনের কাছ থেকে সঙ্গীত শিক্ষা করছেন, তাঁদের কেউ কেউ আজ সুবিখ্যাত হয়েছেন। একদিন শুনলুম নজরুল ইসলাম জমীরের কাছে গান শিখছেন। নজরুল যে গায়ক হবার জন্যে তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন নি, এ কথা তখন তিনি বুঝতে পারেন নি, কিন্তু আমি বুঝতে পেরেছিলুম।

 অনেক দিন পরে গ্রামোফোন কোম্পানীর কার্যালয়ে জমীরুদ্দীনের সঙ্গে দেখা। তখন আমি গান রচনার দিকে ঝোঁক দিয়েছি খুব বেশী মাত্রায়। আমার কলমে এসেছিল গানের বন্যা, প্রত্যহই গান রচনা করি। গ্রামোফোনের রেকর্ডে প্রায়ই আমার গান প্রকাশিত হ’ত এবং জমীরুদ্দীন ছিলেন ওখানকার অন্যতম সঙ্গীত-শিক্ষক। আমাকে দেখেই ভারি খুসি। হাসিমুখে বললেন, ‘দাদা, আপনার কথাই ভাবছিলুম।’ আমি বললুম, ‘সে কি হে, চোরে-কামারে দেখা নেই, আমার কথা ভাবছিলে মানে?’ জমীর বললেন, ‘উর্দু গানের সুরে আমাকে খানকয় বাংলা গান বেঁধে দিতে পারবেন?’ আমি বললুম, ‘তা পারব না কেন? কিন্তু উর্দু গানগুলি না শুনলে তো সেই চালে গান লিখতে পারব না।’ তিনি বললেন, ‘বেশ, কালকেই আপনাকে গান শুনিয়ে আসব।’

 কথাপ্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলুম, ‘নজরুল এখনো তোমার কাছে গান শেখে কি?’

 প্রবল মস্তকান্দোলন ক’রে জমীর বললেন, ‘না। নজরুলকে আমি আর কখনো গান শেখাব না।’

 জিজ্ঞাসা করলুম, ‘হয়েছে কি, এত চটেছ কেন?’

 তিনি বললেন, ‘দাদা, না চটে কি থাকা যায়? নজরুল আমার কাছ থেকে গানের পর গান শিখতে লাগল। তারপর সে কি করলে জানেন? বাংলা গানে সেই সব গানের সুর বসিয়ে এখানেই এসে শিখিয়ে যেতে লাগল। বলুন, এর পরেও কি তাকে আর গান শেখানো চলে? শেষটা কি আমার অন্ন মারা যাবে?’

 আমি হেসে বললুম, ‘নজরুল খুব বেশী অন্যায় করেছে ব’লে মনে হয় না। সে তো গায়ক হবার জন্যে তোমার কাছে গান শিখতে চায় নি। সে চেয়েছিল কেবল নতুন নতুন সুর শিখতে, নিজের কাজে লাগাবে ব’লে। এটা তোমার আগেই বোঝা উচিত ছিল।’

 পরদিনই জমীর আমার বাড়ীতে এসে হাজির। আমাকে কয়েকটি উর্দু গান শোনালেন। গানের কথাগুলি কাগজে টুকে নিয়ে আমি বললুম, ‘হপ্তাখানেক পরে এসে গান নিয়ে যেও।’

 জমীর বললেন, ‘আমি কেবল গান নিতে আসব না, সেদিন আপনাকে ভালো ক’রে গান শুনিয়েও যাব। শুনতে পাই, আপনার বাড়ীতে প্রায়ই গানের আসর বসে, নামজাদা গাইয়েরা আসেন, কিন্তু কোনদিনই তো আপনি এই গরীবকে স্মরণ করেন না।’

 জমীরের কণ্ঠে অভিমানের সুর। বললুম, ‘ভাই, বড় বড় গাইয়েদের অনেকেই আমার এখানে এসে গান গেয়ে যান বটে, তবে তাঁরা আসেন দয়া ক’রে, কেবল ভালোবাসার খাতিরে। কিন্তু তোমাকে ডাকি কেমন ক’রে, উচিতমত দক্ষিণা দেবার ক্ষমতা তো আমার নেই!’

 জমীর বললেন, ‘কেন দাদা, আমিও কি আপনাকে ভালোবাসতে পারি না? আমি কি কেবল টাকার খাতিরেই গান গাই? মনের মত সমঝদার পেলে টাকার কথা আমার মনেও ওঠে না। এবার থেকে আমিও এখানে গান গাইতে আসব। কেবল আমাকে একটু রঙিন ক’রে দিলেই চলবে, রঙিন না হ’লে আমার গান খোলে না।’

 তাঁর কথার অর্থ বুঝলুম। তিনি চান সুরাদেবীর প্রসাদ।

 আমি হাসতে হাসতে বললুম, ‘বেশ, তাই হবে।’

 তারপর থেকে আমার বাড়ীতে হ’তে লাগল জমীরুদ্দীনের ঘন ঘন আবির্ভাব। এক-একদিন কোন খবর না দিয়েই তিনি এসে পড়তেন এবং সেদিন নিজেই কোন ভালো তবলচীকে সঙ্গে ক’রে নিয়ে আসতেন। আসর বসত সন্ধ্যার সময়ে এবং রাত দুটো কি তিনটের আগে সে আসর আর ভাঙত না। কোন কোন দিন অন্যান্য গায়করাও থাকতেন এবং শ্রোতার সংখ্যাও বড় কম হ’ত না। আবার এক-একদিন শ্রোতা হতুম আমি একলাই, কিন্তু তবু জমীরের উৎসাহের অভাব হ’ত না কিছুমাত্র। জ্যোৎস্নাপুলকিত গঙ্গার কলকল্লোলের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে তিনি স্তব্ধ নিশীথের বুকের ভিতরে ঢেলে দিতেন গানের পর গানের ধারা। যত রাত বাড়ে, তত বাড়ে সুরার মাত্রা এবং তত বাড়ে তাঁর গাইবার উৎসাহ। কিন্তু এ উৎসাহ মদ্যপের উৎসাহ নয়, এ হচ্ছে শিল্পীর উৎসাহ। নিজেই তিনি ডুবে যেতেন যেন গীতরসধারার মধ্যে। প্রচুর মদ্য পান করেছেন, পা টলছে, তবু কোনদিন কিছু বেচাল দেখি নি, কোনদিন তাল কাটে নি, গলা বেসুরো বলে নি।

 কিন্তু যে কোন শিল্পীর পক্ষেই মদ্য হচ্ছে দারুণ অভিশাপের মত। বিশেষতঃ কণ্ঠসঙ্গীত নিয়ে যাঁদের কারবার, তাঁদের তো মদ স্পর্শ করাই উচিত নয়। জমীরুদ্দীনের যথেষ্ট সঙ্গীত-প্রতিভা ছিল বটে, কিন্তু সুরার বিষ নিশ্চয়ই তাঁর দেহের ভিতরটা জীর্ণ ক’রে দিচ্ছিল ধীরে ধীরে।

 একদিন দুপুর বেলায় তিনতালার বারান্দার প্রান্তে ব’সে রচনাকার্যে নিযুক্ত আছি, হঠাৎ একতালা থেকে জমীরের গলার সাড়া পেলুম, ‘দাদা, দাদা!’

 আমি তাঁকে উপরে আসতে বললুম। তিনি উপরে এলেন, কিন্তু কি মূর্তি! অস্নাত চেহারা, চক্ষু স্ফীত, প্রায় দাঁড়াতে পারেন না, এমন অবস্থা।

 বিস্মিত হয়ে বললুম, ‘ব্যাপার কি জমীর?’

 তিনি ধপাস্ ক’রে ব’সে পড়ে বললেন, ‘কাল রাতে একটা বড় মাইফেল ছিল, আমার মাত্রা বড় বেশী হয়ে গেল। তারপর সকাল থেকে খাচ্ছি, এখন আপনার এখানে আবার খেতে এসেছি।’

 আমি বললুম, ‘মাপ কর ভাই জমীর, তা হয় না। দেখছ তো আমি লিখছি, তোমাকে নিয়ে আমি এখন ব্যস্ত হ’তে পারব না।’

 বাড়ীর সামনেকার গঙ্গার দিকে উদাস চোখে তাকিয়ে জমীর চুপ ক’রে ব’সে রইলেন খানিকক্ষণ। তার পর উঠে দাঁড়িয়ে টলতে টলতে চ’লে গেলেন।

 ভেবেছিলুম জমীর রাগ ক’রে আর আমার বাড়ীতে আসবেন না। কিন্তু আমার সে ধারণা ভুল। হপ্তা দুই পরে আবার তাঁর আবির্ভাব। ওষ্ঠাধরে মিষ্ট হাসি, দুই চোখে প্রীতির ভাব।

 তাঁর সঙ্গে শেষ দেখার কথা বলি। সেদিন “অল-ইণ্ডিয়া-রেডিও”য় একটি গল্প পাঠ ক’রে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছি। সন্ধ্যাকাল। হঠাৎ পিছন থেকে কে আমাকে দুই হাতে সজোরে জড়িয়ে ধরলে— আমি চমকে দেখতে পেলুম কেবল একটা প্রকাণ্ড পাগড়ী। এই অভাবিত ও আকস্মিক আলিঙ্গন থেকে কোন রকমে নিজকে মুক্ত ক’রে নিয়ে ফিরে দেখি, জমীরুদ্দীন!

 তিনি হাসতে হাসতে বললেন, ‘কি দাদা, ভয় পেলেন নাকি?’

 বললুম, ‘তা একটু পেয়েছিলুম বৈকি! ভেবেছিলুম গুণ্ডার হাতে পড়েছি!’

 জমীর বললেন, ‘অনেক দিন দেখি নি কিনা, তাই একটু আদর করতে সাধ হ’ল।’

 তার অল্পদিন পরেই খবর পেলুম, জমীর আর ইহলোকে নেই। এমন একজন উদারপ্রাণ শ্রেষ্ঠ শিল্পীর অকালমৃত্যুর প্রধান কারণ যে অতিরিক্ত মদ্যপান, সে বিষয়ে আমার সন্দেহ নেই।

 জমীর প্রায়ই আমাকে বলতেন, ‘দাদা, আমার ছেলেও খুব ভালো গাইতে শিখেছে, বেটা বাপের নাম রাখবে। আপনাকে তার গান একদিন শুনিয়ে দেব।’

 জমীরের জীবদ্দশায় তাঁর পুত্রের গান আর শোনা হয় নি। কিন্তু বছর তিন আগে একটি আসরে তার গান শুনেছিলুম। অনেকটা বাপের মতই চেহারা, গলা ও গাইবার ঢং। অল্পদিনেই সে বেশ নাম কিনেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তরুণ বয়সেই সে পিতার সঙ্গীতপ্রতিভার সঙ্গে পিতার দুর্বলতারও উত্তরাধিকারী হয়েছিল। অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে সেও আজ পরলোকে।