বিষয়বস্তুতে চলুন

রবীন্দ্রনাথ (১৯৬০)

উইকিসংকলন থেকে
রবীন্দ্রনাথ

রবীন্দ্র পরিচয় গ্রন্থমালা

রবীন্দ্রনাথ

রবীন্দ্রনাথ

কাব্যগ্রন্থপাঠের ভূমিকা

অজিতকুমার চক্রবর্তী

বিশ্বভারতী গ্রন্থালয়

২ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্ট্রীট। কলিকাতা

বিশ্বভারতী সংস্করণ আশ্বিন ১৩৫৩

পুনর্‌মুদ্রন মাঘ ১৩৬৪

জ্যৈষ্ঠ ১৩৬৭: ১৮৮২ শকাব্দ

প্রকাশক শ্রীপুলিনবিহারী সেন

© বিশ্বভারতী। ৬।৩ দ্বারকানাথ ঠাকুর লেন। কলিকাতা ৭

মুদ্রাকর শ্রীদেবেন্দ্রনাথ বাগ

ব্রাহ্মমিশন প্রেস। ২১১ কর্নওআলিস স্ট্রীট। কলিকাতা ৬

যাঁহার সাহায্যে প্রথমে
রবীন্দ্রনাথের কাব্যলোকের মধ্যে প্রবেশলাভ করি
সেই কবি ও বন্ধু
পরলোকগত
সতীশচন্দ্র রায়ের স্মৃতির উদ্দেশে এই পুস্তকখানি
উৎসর্গ করিলাম

আমার এই সমালোচনাটি ১৩১৮ সালের ২৫এ বৈশাখে কবিবর রবীন্দ্রনাথের পঞ্চাশ বৎসর পূর্ণ হইবার উপলক্ষে জন্মোৎসবের জন্য লিখিত হইয়াছিল এবং শান্তিনিকেতনে পঠিত হইয়াছিল। ১৩১৮ সালের ‘প্রবাসী’র আষাঢ় ও শ্রাবণ সংখ্যায় ইহা প্রকাশিত করিয়া শ্রদ্ধেয় ‘প্রবাসী’-সম্পাদক মহাশয় আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করিয়াছেন।

 সাহিত্য-সমালোচনা বলিতে আমাদের দেশের প্রাকৃতজনের সংস্কার এইরূপ যে, রচনামাত্রকে ভালো এবং মন্দ এই দুইটা মোটা ভাগে বিভক্ত করিয়া বাটখারার দুই পাল্লায় চাপাইয়া তৌল করিয়া দেখিতে হইবে। কিন্তু কোনো ব্যক্তির সাহিত্যকে এমন খণ্ডভাবে দেখাকে আমি সত্য দেখা বলিয়া মনে করিতে পারি না। বড় সাহিত্যিকের বা কবির সকল রচনার মধ্যে অভিব্যক্তির একটি অবিচ্ছিন্ন সূত্র থাকে; সেই সূত্র তাহার পূর্বকে উত্তরের সঙ্গে গাঁথিয়া তোলে, তাহার সমস্ত বিচ্ছিন্নতাকে বাঁধিয়া দেয়। অপূর্ণতা–অস্ফুটতা হইতে ক্রমে ক্রমে তাহা সুস্পষ্ট পরিণতির দিকে অগ্রসর হয়— সেইজন্য কবির বা সাহিত্যিকের রচনার মন্দ মানে অপরিণামের মন্দ এবং ভালো মানে পরিণতির ভালো। কবির বা সাহিত্যিকের সেই পরিণতির আদর্শের মানদণ্ডেই তাঁহার রচনার ভালোমন্দকে মাপিতে হইবে, তা বই ভালো এবং মন্দকে প্রত্যেকের আপন আপন সংস্কারানুসারে দুই টুকরা করিয়া নিক্তির মাপে ওজন করিলে চলিবে না।

 কবি রবীন্দ্রনাথের সমস্ত রচনার মধ্যে তাঁহার এই ভিতরকার পরিণতির আদর্শের সূত্রটিকেই আমি অনুসরণ করিবার চেষ্টা করিয়াছি। কতদূর কৃতকার্য হইতে পারিয়াছি তাহা জানি না।

 কবিবর স্বয়ং তাহার নুতন সংস্করণের কাব্যগ্রন্থের ভূমিকাস্বরূপ আমার এই ক্ষুদ্র লেখাটিকে গ্রহণ করিয়া আমাকে আশাতীতরূপে পুরষ্কৃত করিয়াছেন। আমার ভক্তির এই অতি তুচ্ছ অর্ঘ্য যে তাঁহার ভালো লাগিয়াছে, ইহাতেই আমি আপনাকে কৃতার্থ মনে করিতেছি।

শান্তিনিকেতন। বোলপুর

    ৮ পৌষ ১৩১৯

শ্রীঅজিতকুমার চক্রবর্তী

পরিচ্ছেদসমূহ (মূল গ্রন্থে নেই)

সূচীপত্র

পরিচ্ছেদ 
 পৃষ্ঠা
 
 ১১
 
 ২৪
 
 ৪৩
 
 ৬৯
 
 ৯২
 
 ১১১

এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।