পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধিকার-তত্ত্ব { 。6t রাজা আমরা প্রজা—এই সম্বন্ধের মধ্যে স্পষ্টই পার্থিবভাব বিরাজ করিতেছে। রাজপদের অহঙ্কার ভঁাহারদের অতি দূরস্থ অন্তরঙ্গের হৃদয়কেও স্ফীত করিয়া তুলিয়াছে, এবং উহার এখন আমারদিগকে দোহন করিতেছেন। এ অবস্থায় উtহারদের সহিত আমারদের বন্ধুত্ব কিমতে হইতে পারে ? অণদে তো অধ্যাত্মিক ভাবের মধ্যে দিয়া সে ভ্রাভূভাব হওয়ার সম্ভব নাই ; অতঃপর উভয়জাতির স্বজাতীয় অধিকার ভtহাতে বাধা-দিতেছে, ইংরাজদিগের সাংসারিক অহঙ্কার তাহার বাধা দিতেছে, আধ্যাত্মিক সমতার অভাব তাহার বাধা দিতেছে; এবং আমারদেরই যেন জগত্যাভিমান যায় নাই, তাহারদের জাত্যাভিমান ও কি ঐ ভ্রাতৃভাবের বাধা দিতেছে না ? এখন কি কেবল খৃষ্টকে অবলম্বন করিলে এবং তামারদিগের স্ত্রীগণকে তাহারদের বাটী লইয়া গেলেই ভ্রাতৃভাব স্থাপিত হইবেক ? উন্নত ব্রাহ্মের। এই প্রকার যত কার্য্য করিতেছেন তাহা তাহারদের মতে ভ্রাতৃভাব হইতে পারে, কিন্তু আমারদের মতে নহে । সম্প্রদায় বন্ধনে, অনুকরণ করণে, বিষয়ের যোগে অথবা সম্পত্তি, যশ ও শরীরের সমতায় ভ্রাতৃভাব হয় না। ভ্রাতৃভাব এক আত্মার মধ্য দিয়া অন্য অণজ্যতে প্রকাশ পায়, কেবল আত্মার ভাব সমান রূপে উন্নত হইলেই তাহা জন্মিয়া থাকে । বিদ্য ও জ্ঞানের সমতাতেও তাহা হয় না ; কেবল যে সকল আত্মা পরস্পর ধার্ম্মিক ও ঈশ্বরপরায়ণ হয়, যে সকল আত্মার স্বর্থ বিগত হয়, র্যাহারা ধন মান যশের জন্য নহে, সম্প্রদায় সৃষ্ট করিবার জন্য নহে, কিন্তু