পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8సెసి এবং যতই খ্যাতির জন্য লোভ না থাকুক, খ্যাতি ও যশ মাহুষকে যে শুধু আনন্দিত করে তা নয়, তা দেয় মানুষকে নূতন বল। মাহুষের মধ্যে সর্ব্বদাই মানুষের জন্য একটা অপেক্ষা আছে । মামুষের কর্ম্মের ক্ষেত্র সমাজ । মানুষ যা করে তা মানুষের জন্যই করে । তাই মানুষ যখন তার নিজের কাজের দ্বারা অপরকে খুন্সী করতে পারে তখন তার মন উৎফুল্প হয়ে ওঠে । কাজ করতে করতে মানুষের মনে আসে একটা অবসাদ । সে বুঝতে পারে না তার কাজের মূল্য যতক্ষণ না তা যাচাই হয় দশের দরবারে । এই থ্যাতির সঙ্গে সঙ্গে সুজাতার কাজের নেশা গেল অনেক গুণ বেড়ে । যে সমস্ত জ্ঞানচারীরা আদিম কাল থেকে জ্ঞানের দুরারোহ শৈলের পথিক হয়েছে সে মনে মনে নিজেকে তাদেরই একজন মনে করে গৌরব বোধ করতে লাগল। এই গৌরব বোধ তার রক্তে এনে দিল একটা নূতন রকমের মাদকতা । যখন এই সমস্ত কীর্ত্তি ও গৌরবের প্রসাদ আসতে লাগল তার সম্ভোগ গেল বহুগুণ বেডে । অধ্যাপক ও কানাইয়ের সহানুভূতি ও প্রশংসায় এক এক সময় তার কর্ণমূল হয়ে উঠত আরক্ত। অধ্যাপক ও কানাই উভয়েই তাকে করত নিরন্তর প্রোৎসাহিত—তার রক্তে যেত যেন একটা উত্তেজনার বান ডেকে । কানাইয়ের গবেষণাও চারিদিকে হ’তে লাগল সমাদৃত। অনেক স্থান থেকে প্রস্তাব এল যাতে তার গবেষণালব্ধ ফল ব্যবসায়ীর নিতে পারে কিনে’। অনেক পণ্ডিত সমাজ থেকে আসতে লাগল তার আমন্ত্রণ, অনেক পণ্ডিত সমাজে সে হ’ল সম্মানিত সভ্য এবং পণ্ডিত সমাজে উঠল একটা জনরব যে শীঘ্রই তাকে ইংলণ্ডের রাজকীয় বিজ্ঞানসভার সভ্য করা হবে । এই সমস্ত সংবাদে সুজাত৷ ६षन গর্ব্বে ও গৌরবে উৎফুল্ল হয়ে উঠত এবং কানাইয়ের সামনে সে ধরত ভবিষ্যৎ