পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনাতোন একটু চোখ বুজে বললে, ‘এখন এই লোহার শিকলিটাই মেজে-ঘষে সোনা বলে চালিয়ে দেওয়ু যাক —কী বল দিদিমণি ? -- - সোনা ঘাড় নেড়ে বললে, কিন্তু বিয়ের পরে বে। যদি ধরে ফেলে ওটা নোয়া ? সোনাতোন বুক ফুলিয়ে বললে, তখন বলা যাবে নোয়াই তো হল মেয়েদের আসল গয়না । তাতে বৌ রাগ করে তো আমার ওপর' করবে, তোমাকে তো কিছু বলতে পারবে না ; আর ধর সেকর যদি সোনা নিয়ে পালিয়ে থাকে তাহলে কি আমার বিয়ে হবে না, দিদিমণি ? সোনাতোনকে নিয়ে সোনা আমপাতায় সাজানো সভায় এনে বসিয়ে কনে আনতে ছুটল। কনে বোহিম তখন লুকিয়ে একটা মাছের মুড়ে গিলছিল, সে পিছতেই আসতে রাজি হয় না। সোনা এসে দেখলে বর অনেকক্ষণ বসে-বসে রাগ করে উঠে গেছে । আঙুটি পাণ্ডটি বললে, ‘সোনাতোন বাবার তক্তার নিচে সেই যে বেড়ালটা বসে থাকে তাকেই বিয়ে করতে গেছে।’ 隐 সোনা র্কাদতে-কাদতে মায়ের কাছে নালিশ করতে গেল। গিয়ে দেখলে সোনাতোন সেখানে বসে, আর একটি ছোট্ট বেড়ালছানা দৌড়ে বেড়াচ্ছে। সোনাকে দেখেই সোনাতোন ছানাটি তার কোলে দিয়ে বললে, ‘দিদিমণি, কেমন ছোট্ট মোটা-সোটা । লো-কোলো বৌটি দেখ, যেন স্বয়ং মা ষষ্টির বাহন ঘরে খেলছেন ? কুকুরটা বিয়ে না করায় একটা বেড়াল বাড়ল, এ জন্তে কুকুরের উপরে খাতাঞ্চি বড়ো যে খুশি হলেন তা নয়। বেড়ালের উপর তো তিনি সদয় মোটেই না। আর সোনাতোনের বেড়ালবোঁ বাসিবিয়ের দিন শ্বশুরবাড়ি পা দিয়েই যখন সোনাতোনের পাত থেকে ভাজা মাছটা তক্তার নিচে লুকিয়ে খেয়ে ফেললে, তখন সোনাতোনও যে খুশি হল তা নয়। কিন্তু সোনা এমন খুশি হল যে বেড়ালবেয়ের গলায় নিজের মাথার লাল ফিতে দিয়ে এতটুকু একটু চকচকে ঘুঙর Ꮌ Ꮌ☾