—সে আপনার দয়া। কি রান্না করবেন?
—বেগুন ভাতে, মুগির ডাল। খয়রা মাছ যদি খোলার গাঙে পাই তবে ভাজবো—
—আপনি সত্যি সত্যি এত বেলায় এখনো খান নি?
—না। তোমার জন্য অনেকক্ষণ থেকে দাঁড়িয়ে আছি। কুঠি থেকে কখন বেরুবে তাই দাঁড়িয়ে আছি—
গয়া রাগের সুরে বলে—ওমা এমন কথা আমি কখনো শুনি নি! সে কি কথা? আমি কি আপনার পায়ে মাথা কুটবো? এখুনি চলে যান বাড়ি। কোনো কথা শুনচিনে। যান—
—এই যাচ্ছি—তা—
—কথা-টথা কিছু হবে না! চলে যান আপনি—
গয়া চলে যেতে উদ্যত হোলে প্রসন্ন চক্কত্তি ওর কাছ ঘেঁষে (যতটা সাহস হয়, বেশি কাছে যেতে সাহসে কুলোয় কৈ?) গিয়ে বললে—তুমি রাগ করলে না তো? বল গয়া—
—না রাগ করলাম না, গা জুড়িয়ে জল হয়ে গেল—এমন বোকামি কেন করেন আপনি? যান এখন—
—রাগ কোরো না গয়া, তুমি রাগ করলি আমি বাঁচবো না।
ওর কণ্ঠে মিনতির সুর।
ভবানী বাঁড়ুয্যে বিকেলে বেড়াতে বেরুবেন,খোকা কাঁদতে আরম্ভ করলে—বাবা, যাবো—
তিলু ধমক দিয়ে বললে—না, থাকো আমার কাছে।
খোকা হাত বাড়িয়ে বললে—বাবা যাবো—
ভবানী বাঁড়ুয্যের ছাতি দেখিয়ে বলে—কে ছাতি?
অর্থাৎ কার ছাতি!
ভবানী বললেন—আমার ছাতি। চল, আবার বিষ্টি হবে—