পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७ উপদেশ। । আহবান। নরনারীর ব্যাকুল হৃদয় তাহারি অন্বেষণে ব্যাপৃত হইয়। র্তাহাকেই লাভ করত পরম রমণীয় ধৰ্ম্মভূষণে পরিশোভিত। ধৰ্ম্মের বীজও ভাঙ্গিয়া গোধূম বীজের মত পড়িয়া গিয়াছে। বীজের কঠিন আবরণ বিনষ্ট হইলে তাহার ভিতর হইতে যেমন সুন্দর সুকোমল অঙ্কুর বাহির হয়, তেমনি এই ধৰ্ম্মঅস্কুর কঠিন আবরণমুক্ত হইয়া সুন্দর বৰ্দ্ধিত ধৰ্ম্মকলেবরে পরিণত হইয়াছে। অজানিতের সংগুপ্ত বক্ষ বিদীর্ণ হইয়া যে ধৰ্ম্ম বহির্গত হইলেন, ইহা মিলনের ধৰ্ম্ম, ইহা অসাম্প্রদায়িক, বিদ্বেষঘৃণা বিরহিত। প্রভাতে অসংখ্য অসংখ্য জ্যোতিৰ্ম্ময় বস্তু সমুদয় যেমন এক প্রকাগু জ্যোতিৰ্ম্ময় স্থৰ্য্যকলেবরে বিলুপ্ত হইয়া যায়, তেমনি এই সমস্ত বিভিন্ন ধৰ্ম্মের আলোক এই মহা ধৰ্ম্মজ্যোতিতে বিলীন হইয়া গেল। স্বপ্রকাশ, জীবন্ত, জাগ্ৰত ঈশ্বরের আবির্ভাবপূর্ণ এই প্রকাও ধৰ্ম্মজগৎ অজানিত অগম্য অপার মহান পরমেশ্বর হইতে প্রকাশিত হইল। আমরা অজানিতকে বিশ্বাস করিয়া অজানিত ঈশ্বরের সাধনাতে প্রবৃত্ত হইয়াছিলাম, তাহাতে অজানিত জানিত হইলেন, অপ্রকাশিত ছিলেন যিনি তিনি প্রকাশিত হইয়া নিজ পরিচয় দান করিলেন। সংগুপ্ত ঈশ্বর বিশ্বাসী সাধকের হস্ত ধরিলেন । কিন্তু ইহাতেও অজানিত পরিসমাপ্ত হন নাই। এখনও সেই প্রকাও অবগুণ্ঠন হইতে কত বিস্ময়কর ঘটনা সমস্ত প্রকাশিত হইবে। কত নব নব ভাবে অজানিতের অদৃষ্ঠ হস্ত আমাদিগের কাছে প্রকাশিত হইয়া কত নূতন ভাবে আমাদিগকে আশীৰ্ব্বাদ ও পরিচালিত করিবে কে জানে ? সামান্ত বিশ্বাসের কাণাকড়ি সম্বল করিয়া তাহার এত সৌভাগ্যবান, বিশ্বাস-ঐশ্বর্ষ্যে তাহারা যখন পূর্ণ হইবে, তখন কে জানে তাহাঁদের কত কৃতাৰ্থত হইবে ? আজ আমরা সেই অজানিতের কৌশল ও শক্তিতে সকলে এই ঘরে