অসাধারণত্ব । । ৩৩ অসীম শক্তির পরিচয় পাইবে। হে ব্রাহ্মগণ, বল তোমাদের কোন শক্তি আছে ? যে শক্তি আছে আজ তাহ প্রকাশ কর। যদি কোন শক্তি প্রকাশ না কর, তবে তোমরা সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বরের সন্তান নহ। কিরূপে বলিব মানুষের শক্তি নাই ? কাল যাহার কিছুই ছিল না আজ তাহার কত হইয়াছে! কাল ভিখারী, আজ অতুল ঐশ্বৰ্য্যের স্বামী । ইহাতে মানুষকে শক্তিহীন বলিব কিরূপে ? তবে যে তারতম্য দেখ, তাহার কারণ এই । ইট চক্রের শক্তিতে এই পৃথিবী চলে। তাহার একটা স্বার্থ, আর একট পরমার্থ। যদি এই স্বার্থের চক্র জীবনে ংযোগ কর, তবে এই কলিকাতায় চারিদিকে যাহা হইয়াছে, তাহ তোমাদের হইবে। আর যদি পরমার্থের চক্রে জীবনকে চলিতে দাও, সেই চক্রের শক্তিতে তবে জীবন পৃথিবী ছাড়িয়া স্বর্গে চলিয়া যাইবে । কিন্তু-পরমার্থের চক্র বড় চলে না । যেমন জগন্নাথের চক্ৰ সৰ্ব্বদা চলে না, পুরীর কর্দমময় পথে অচল হইয়া পড়িয়া থাকে ; কিন্তু আষাঢ়ের উৎসবে নানা দেশ হইতে লোক আসিয়া সজোরে চালাইয়া দেয়। এই কলিকাতার পথে উৎসবের সময় এই ধৰ্ম্মরথচক্ৰ সেইরূপ যেদিন চলিয়া গিয়াছিল, আমরা দেখিয়াছি। আজও তোমাদের সেই শক্তি আছে। যাহাতে এই শক্তি চির অব্যাহত থাকে তাহা করিতে হুইবে । তোমরা বলিতে পার আমাদের ভক্তি নাই, জ্ঞান নাই, সম্পদ নাই, লোকবল নাই ; সুতরাং কেমন করিয়া সেই সোণার ধৰ্ম্মরথ এই জীবনের উপর দিয়া চালাইতে সমর্থ হইব ? কিন্তু এই কথা সত্য নহে। শক্তিরাজ্যে অনেক আশ্চৰ্য্য ব্যাপার সংঘটিত হয়। বিজ্ঞানবলে, জ্ঞানপ্রভাবে, এক সময় মাটী সোণ হইবে। তাহা হইয়া থাকুক আর না থাকুক, শক্তিরাজ্যে এতাদশ অদ্ভুত ব্যাপার অনেক ঘটিয়া গিয়াছে। দুইটী কাঠি