পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や8 উপদেশ করিয়াছেন, বৰ্ত্তমান সময়েও এই প্রণালীতে কাৰ্য্য করিতেছেন । ব্রাহ্মসমাজ তাহার সাক্ষী । তুমি, আমি ঘটনার স্রোতে ভাসিয়া কোথায় যাইতেছি। যাহা আরম্ভ করিয়াছি, ইহার পরিণাম কোথায় ? যে সকল ব্যাপার দেখিয়াছি কি দেখিতেছি, ইহা কি বৃথা ? না, এই কারণ হইতে দূরব্যাপী নানা কাৰ্য্য উৎপন্ন হইবে ? এতাবৎ বিষয় বিশ্বাসনয়নে দর্শন কর, উজ্জ্বল জ্ঞানে অনুধাবন কর । তুমি আমি আমরা অতীত ঘটনার তাৎপৰ্য্য খুজিয়া অস্থির হইতেছি, কে জানে যে আমাদের দুঃখ, স্থখ, সংগ্রাম, পরীক্ষা, জয় পরাজয় কোন দূরস্থিত ভবিষ্যতের ইতিহাসকে রচনা করিতেছে ? ছায়াবাজীর পুতুলের ন্যায় আমরা কাহার সংস্কল্প সিদ্ধ করিতেছি, কোন অদৃষ্ট অভিপ্রায় পূর্ণ করিতেছি ? বরং চন্দ্র সূৰ্য্য দেখিওনা ; ইহাদের অনুধাবন জোতিৰ্ব্বিদদিগের দর্শন চিন্তা, দূরবীক্ষণ সঞ্চালিত হইতেছে, আমি তুমি না দেখিলেও চলে। কিন্তু যে সমস্ত ঘটনা চক্ষে দেখিতেছি, কর্ণে শুনিতেছি, হস্তে স্পর্শ করিতেছি, তাহার ভিতরে ধৰ্ম্মবুদ্ধিকে নিয়োগ করিয়া ভগবানের অতুল কীৰ্ত্তি, ও মহান আত্মপ্রকাশ কেন দর্শন করি না ? অতএব জীবনবিদ্যাকে, অন্তদর্শনকে, নিগূঢ় ধ্যানকে উজ্জ্বল বিশ্বাস অক্ষরে অঙ্কিত কর ; নূতন শাস্ত্র রচিত হইবে ।