পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদানপ্রদান । । সায়ঙ্কাল রবিবার, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৭৯৬ শক ; ు ডিসেম্বর, >レ”? 8 খৃষ্টাব্দ | -- আদান প্রদান সংসারের নিয়ম। গ্রহণ করিতে হইলে দিতে হয় । কাহারও নিকট প্রত্যাশা রাখিলে তাহার প্রত্যাশা পূর্ণ করিতে হয়। দুই পক্ষ হইতেই সাহায্য আসিবে, মনুষ্যজীবনের সম্পর্ক এই। পশ্চিম হইতে পূৰ্ব্ব অনেক উপকার লাভ করিয়াছে। ভারতবর্ষ কি ইউরোপের নিকট ঋণী নহে? পৃথিবীর পূর্ব এবং পশ্চিমখণ্ড দ্বয়ের মধ্যে বর্তমান যে সম্বন্ধ স্থাপিত হইয়াছে, ইহা হইতে জগতের পরিত্রাণরূপ অমৃতফল প্রস্থত হইবে। যদি পরিষ্কাররূপে প্রতি ব্রাহ্ম বুঝিতে না পারেন, কি তিনি দিবেন, পশ্চিমের বন্ধুগণ র্তাহার নিকট কি প্রত্যাশা করিতেছেন, তাহা হইলে তিনি এখনও তাহার জীবনের গুরুতর কৰ্ত্তব্য বুঝিতে পারেন নাই। সকলেই আমরা জানি, পৃথিবীর পশ্চিম বিভাগে অনেক সভ্যতা, জীবন, উন্নতি এবং শক্তি ; কিন্তু আমরা সকলে হয়ত অবগত নই, এই উন্নতির মধ্যে এমন কোন অভাব আছে কি না, যাহাতে জীবনের মূল পর্যন্ত শুষ্ক হইয়া যাইতেছে। এই নয়মাসকাল ইউরোপে ভ্রমণ করিয়া অভাব আছে, তাহ দূর না করিলে প্রকৃতরূপে ধৰ্ম্মজগতের উন্নতি । প্রথমে যখন সকল শোভাতে স্বভূষিত হইয়া প্রকৃতি আসিয়া মনুষের চক্ষুকে চুম্বন করিল, মনুষ্য বলিল, সকল বস্তুতেই ঈশ্বরের শক্তি, তাহার মহিমা । বস্তুতঃ সকল দেশের লোকেরাই প্রথমতঃ প্রকৃতি অর্থাৎ বাহ