পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अंङिउड़् । « ግ স্বাছে। যে মৃত্তিক হইতে আমার আহাৰ্য্য উৎপন্ন হইল, আমার দেহ আবার সেই মৃত্তিক হইয়া অন্তের আহাৰ্য্য হইল। এইরূপে শক্তিচক্র ঘুরিতেছে। একই শক্তি সকলের মূল। এই আদি শক্তি যিনি বুঝিলেন তিনি ঈশ্বরত্ব হৃদয়ঙ্গম করিলেন। তিনি দেহতত্ত্ব, আত্মতত্ত্ব জানিলেন। এই শক্তির বাহিক আকার বিদূরিত কর। শক্তি নিরাকার। জড়ের নিজের কোন শক্তি নাই, আমার হস্ত জড়, হস্ত নিজে কিছু করিতে পারে না; কিন্তু মন বলিলেন, হস্ত উদ্বদিকে উঠুক, উঠিল। হস্তের আর স্বতন্ত্র শক্তি কি ? অতএব শক্তি নিরাকার অথচ আছে। কিছু চিরকাল আছে ইহা যদি স্থির হয় তাহ শক্তি। কেননা শক্তির বাহ্যিক প্রকাশ এই আছে এই নাই। এই একই শক্তি সমুদয় ভূতের মধ্যে কাৰ্য্য করিতেছে তাহাতে সন্দেহ নাই। তবে এই শক্তি কোথা হইতে আসে ? আধার ভিন্ন শক্তি থাকিতে পারে না। শক্তির অবলম্বন কি ? শক্তির মূল কি ? আপনার মনকে জিজ্ঞাস কর, বিজ্ঞানকে জিজ্ঞাসা কর, ভক্তিকে জিজ্ঞাসা কর। ভক্তি দেখিলেন, চন্দ্রের মধ্যে মাধুৰ্য শক্তি, বজ্রের মধ্যে ভয়ানক শক্তি, সায়ংকালের বিচিত্র ব্যাপারে, এবং উষাকালে অরুণোদয় সময়ে এক অত্যাশ্চর্য শক্তি ; কিন্তু এ সমুদয় শক্তির মূলে একজনের শক্তি দেখিয়া, ভক্তি র্তাহাকে জগতের প্রাণ বলিয়া স্বীকার ಡ್ತೀಣ:: বিজ্ঞান জগতের আদি শক্তি বলিল। তাহাকেই শাস্ত্রকারের চক্ষুর চক্ষু, কৰ্বেকৰ্ণ, মনের মন বলিয়া প্রকাশ করিলেন। কিন্তু এখানে শেষ ইল । এই পর্যন্ত কবিত্ব এবং বিজ্ঞানের সীমা। তার পরে ধাৰ্ম্মিকের কার্য আরম্ভ হইল। তিনি দেখিলেন এই শক্তির ভিতরে আমি বচিাআছি, যতটুকু এই শক্তির ভিতরে আছি ততটুকু আছি, ইহার