পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুগধৰ্ম্মবিধান। মাঘোৎসব । সায়ংকাল, রবিবার, ১৫ই মাঘ, ১৭৯৯ শক ; ২৭শে জানুয়ারি, ১৮৭৮ খৃষ্টাব্দ। উৎসবক্ষেত্রবিহারী ব্রাহ্ম, স্থির হও, চল তোমার সঙ্গে এই বিচিত্র ব্রাহ্মধৰ্ম্মরূপ বৃক্ষ ছায়াতলে বসি, সেখানে বসিয়া তুই একটা কথা কহি । কিরূপে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গৃহ নিৰ্ম্মিত হয় ? কি পদার্থে ? ইহার উদ্দেশু কি ? ইংলণ্ডদেশে ব্রিষ্টল নামে এক নগর আছে, সেখানে একটি সমাধিস্থান আছে। সেই শু্যামল নবহূৰ্ব্বাদলের নিম্নে একজন ব্রাহ্মণের কয়েকখানি অস্থি আছে। সেই সমাধিগৃহের দ্বারে একখানি মন্তব্য পুস্তক আছে। সেই পুস্তকে একজন লিখিয়াছেন ঃ—“রাজা, তুমি ভারতবর্ষে যে বীজ বপন করিয়াছিলে, তাহার বৃক্ষের ফল আজ সহস্ৰ সহস্ৰ লোক আহার করিতেছে।” কে সেই রাজা ? উৎসববিহারী ব্রাহ্ম, তুমিই এই প্রশ্নের উত্তর দাও । যখন ভূগর্ভে সেই ব্রাহ্মণের অস্থি নিহিত হইয়াছিল, তখন অদ্যকার বক্তা এবং শ্রোতাদিগের জন্ম হয় নাই। সেই ব্রাহ্মণকে স্মরণ করিলে মনোহর পদার্থ চক্ষে আসিয়া পড়ে। বেদ, বেদান্ত, উপনিষদাদি প্রণেতাগণ, প্রাচীন মুনি ঋষি তপস্বী, দেবর্ষি, রাজর্ষি প্রভৃতি সকলকেই নিকটতর দেখা যায়। যখন বেদ বেদান্ত এবং উপনিষদাদির শব্দ সেই ব্ৰাহ্মণের কর্ণে প্রবেশ করিল, তখন তাহার হৃদয়যন্ত্র বাজিয়া উঠিল। সেই প্রাচীন আৰ্য্যদিগের পুরাতন বাক্য সকল তাহার মনকে মুগ্ধ করিল। ওঁকারের পর ও কার, শ্লোকের পর শ্লোক পঠিত হইল। পরাশর, ओजृम्, বশিষ্ঠ প্রভৃতি সকলে আসিয়া সেই ব্রাহ্মণকে বলিলেন, আমাদের {