পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারিল না। কমলার অশ্রুগর্ভ নেত্রের সেই উজ্জল দৃষ্টি যেন বিদ্যুতের কাজ করিয়া দিল। সহসাই গােটাকতক বড় বড় অবাধ্য অশ্রুবিন্দু শরতের তড় তড়ে বৃষ্টির মত বিরাজের চক্ষু হইতে তাহার জামার উপরে ঝরিয়া পড়িল। প্রসারিত বাহুদ্বয়ে কমলাকে গাঢ় আলিঙ্গনে আবদ্ধ করিয়া, তাহার স্কন্ধে মুখ রাখিয়া বিরাজ আবেগভরে অশ্রুবর্ষণ করিতে আরম্ভ করিল। কমলাও বিরাজের বক্ষঃস্থলে মুখ লুকাইয়া নীরবে কঁদিতে লাগিল। আর কাহারও মুখেই কথা সরিল না। উভয়ের চক্ষু হইতে ঝরিতে লাগিল কেবল অশ্র-অবিরল-অবিশ্রান্ত । কতক্ষণ সেইভাবে অতিবাহিত হইল, কেহই তাহা বুঝিতে পারিল না। কতক্ষণ চলিয়া গেল তথাপি কেহ মুখও তুলিল না। সে যেন কি একটা রোদনের উৎসব-যেন কি একটা সুখের স্বৰ্গা! কেহই তাহা ছাড়িতে চাহিল না। জগতে বিরুদ্ধধৰ্ম্মান্বিত পদার্থের সমাবেশ বা পরস্পরের অন্তর্বৰ্ত্তিতার অসদ্ভাব নাই। আমরা যে জল, যে আগুন প্ৰভৃতি প্ৰত্যক্ষ করিয়া থাকি, তাহা না কি তন্মাত্র নহে! দার্শনিকেরা ঐ সকলের আণবিক তত্ত্ব অনুসন্ধান করিয়া বলিয়া থাকেন, জলে আগুনের অংশ আছে, আবার আগুনেও জলের অংশ আছে! তেমনি দুঃখের মধ্যেও যেন একটা সুখ আছে বলিয়া বোধ হয়। তবে সে সুখ বুঝিবার মত হৃদয় বোধ হয় সবারই থাকে না। আনন্দ-মিলনের যে সুখ, তাহা তরল, তীব্র ও উন্মাদকার - সে সুখ সবাই বুঝিতে পারে ; কিন্তু ব্যথিত । হৃদয় যুগলের বিষাদ মিলনের যে সুখ, তাহা যে উপভোগ করে নাই সে বুঝিতে পরিবে না। অশ্রুতে অশ্রু মিশাইয়া রোদনের সুখ কত গভীর-- বেদনাকুল হৃদয়কে সমবেদনাপূর্ণ হৃদয়ের উপরে চাপিয়া ধরিয়া মৌন DDBD DBDDS SYY DBS DDD DDD DDS BB BDB BBSD నs }