পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা 3. ঝঙ্কাছিন্ন উর্ণাজালের ন্যায় পলিকে ছিড়িয়া উড়িয়া গেল! নিজের সুখ-দুঃখের কথা দূরে যাউক, এখন নিজের কৰ্ত্তব্য কি সে তাহাঁই বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছিল না । বিরাজের কথামত কাজ করিতে হইলে শ্বশুরের কথা অমান্য করিতে হয়, আবার শ্বশুরের প্রস্তাবে সম্মত হইতে হইলে ও স্বামীর অবাধ্য হইতে হয়। সে কি করিবে ? কমলা অনেকক্ষণ নীরবে বসিয়া সেই পরিত্যক্ত প্ৰাঙ্গণের অনেকগুলি তৃণ উৎপাটিত করিয়া একত্ৰ করিল ; শেষে নত মুখ আরও নত করিয়া বলিল, “আমি আপনাদের অবাধ্য হ’তে চাই না ; কিন্তু এছাড়া কি আর কোন উপায়ই নেই ?” আর কোন উপায় আছে কি না নীলকমল তাহা ভাবিয়া আহুধন । নাই ; থাকিলেও তিনি তাহাতে প্ৰস্তুত নহেন। তিনি কিছু বিমর্ষ হইয়া চুপ করিয়া বসিয়া রহিলেন। তাঁহাকে নিরুত্তর দেখিয়া চূড়ামণি তাঁহার সহায়তায় অগ্রসর হইয়া বলিলেন, “আর কি উপায় আছে তুমিই বল নর্ম বাছা ! তোমার শ্বশুরবাড়ীর পথ ত একবারেই রুদ্ধ, কোন ? মুক্ত হয় এমন আশাও দেখি না।” কমলা। কেন, আমার অপরাধ ? চূড়ামণি। যাই হ’ক, আর কিছু নাই হ’ক, দশ জনে যা বা মেনে চ’লতেই হবে ? কমলা। দশ জনে যদি একটা ভুল বুঝে থাকে, সেট একবার বুঝিয়ে ব’লে দিতে হবে ? চূড়ামণি। তাতে তোমার শ্বশুরকেই দশ জনের কা 97द । . কমলা। সেই একটু ছোট হবার ভয়ে তিনি নি ।