te এমন অনেক দেশের কথা শুনা যায়, যেখানে পুষ্প-সম্পদ লইয়া বসন্তঋতুটা বর্ষে একবারও দেখা দেয় না ; আবার এমনও অনেক আছে, যেথা । বসন্তই স্ত্র tষ্ট্র বহুলাংশব্যাপী। তেমনি অনেক মানুষও দেখা যায়, যাহাদের জীবনে যৌবন দেখা দেয় না-বাল্যের পরেই যেন বাদ্ধক্য আসিয়া পড়ে ; আবার কাহারও বা জীবনের অধিকাংশকাল ব্যাপিয়াই যৌবন থাকে। নীলকমলের এই শেষপ্রকার । বয়সের হিসাবে তাহার যৌবনকাল বহুদিন হইল চলিয়া গিয়াছে, কিন্তু বাৰ্দ্ধক্যের কোন লক্ষণই এখনও দেখা দেয় নাই-একগাছি চুল শাদা হয় নাই, একটি দাত নড়ে নাই, সূক্ষ্ম বা দূরের বস্তু দেখিতেও কখন তাহার চশমার প্রয়োজন হয় না। উৎসাহ ও শ্রমশীলতায় তিনি যুবার সদৃশ । নীলকমলের পরিবার বৃহৎ নহে ; পত্নী, একমাত্র পুত্র, আর এক ভ্রাতুষ্পপুত্ৰ লইয়াই তঁহার সংসার। তাঁহার সঙ্গে বৈবাহিক সম্বন্ধ সংস্থাপর্নের সাধ অনেকেরই। তাঁহার সম্পত্তিই তাহার একমাত্ৰ হেতু নহে; তাহার পুত্র বিরাজমোহনও রূপে ও গুণে কন্যাবানগণের আকর্ষণ-কেন্দ্র। বিবাহের বয়স হইলেও বিরাজের এখনও কোথাও,সম্বন্ধ স্থির হয় নাই। প্রথমে তাহারই এ বিষয়ে ভারী আপত্তি ছিল, এবং পিতা মাতার অবাধ্য না হইয়া যাহা একেবারে এড়াইবার উপায় ছিল না, তাহা সে পড়া শুন’ শেষের ওজর করিয়া এতদিন ঠেলিয়া রাখিয়াছিল। এখন আর `न আপত্তি করিবার কিছুই নাই; কিন্তু নীলকমলের অসঙ্গত অর্থ কাজ ऊँशब्र পত্নীর অসামান্যসুন্দরী-পুত্রবধু কামনা কোনও কন্যা VSS কামনা পূর্ণ হইতে দেয় না। যাহার কন্যার রূপ থাকে তাহার কেৰ। অর্থসঙ্গতি থাকে না, আবার যাহার তাহ থাকে তাহার কন্যা उाष्ट्र', রূপবতী হয় না। গ্রামের লোক বলিয়া থাকে, বিরাজের অদৃষ্ট বিবাহ [ >>
