পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कभन्नता। চামচিকা প্ৰভৃতির অবাধ বসতিতে একটা বিপ্লব উপস্থিত হইল। তাঙ্গা দালানে মাকড়সার জাল ছিড়িয়া চাদোয়া টাঙ্গান হইল। পরিত্যক্ত বৈঠকখানায় মেজে-ঢাকা শাদা বিছানার উপরে শাদ তাকিয়ার সারি পড়িল-বুলের বদলে ঝাড় বুলিল। পরিজনশূন্য নীরব গ্ৰন্থখানি প্রতিবাসুিগণের আনন্দ-কোলাহলে মুখরিত হইয়া উঠিল, এবং বিরলপত্র, নিজীবপ্রতীয়মান বন-মল্লিকা যেমন বসন্তের বাতাসে ফুলে ও মুকুলে ভরিয়া উঠে, প্ৰতিবেশিনী বালিকা, বৃদ্ধ, নবীন ও প্ৰবীণা পুরাঙ্গনাগণের শুভাগমনে তেমনি হইয়া উঠিল। গ্রামের ছোট বড় সকলেই সে উৎসবে যোগ দান করিতে উপস্থিত হইল ; আসিলেন না কেবল চূড়ামণি, আর আসিতে পারিল না হরকুমার। উৎসবের সে রাত্রি কখন আসিয়া কোন পথ দিয়া চলিয়া গেল, সূৰ্য্যনারায়ণ তাহা যেন বুঝিতেই পারিলেন না। প্ৰভাতে বর-বধূ বিদায়ের । কালে যেমন মনে হইল, কমলা আর তাহার নাই, অমনি তাহার চক্ষু দুটি অশ্রুতে পরিপ্লত হইয়া উঠিল। " জনক-জননী ও শৈশবের গৃহ ছাড়িয়া পরের ঘরকে আপনার করিতে সাইবার প্রথম দিনটা বালিকা-জীবনের আনন্দের দিন নহে। স্বামী তখন তাহদের নিকটে শুধু একটা লজ্জাপ্রদ সংজ্ঞা মাত্ৰ-বিবাহও কেবল একটা লজ্জাজড়িত, আনন্দ-কৌতুকমিশ্রিত প্ৰহেলিকা। যাহারা অপেক্ষাকৃত একটু অধিক বয়সে স্বামি গৃহে যাত্রা করে, লজ্জায় তাহারা মুক্তকণ্ঠে রোদন করিতে পারে না বটে, কিন্তু তাহদেরও 'নরুদ্ধ বিষাদ নিবিড় গহনের নীরব, নিভৃত নিঝরের ন্যায় অবগুণ্ঠনের মধ্যে অলক্ষ্যে অবিরাম অশ্রুধারায় বিগলিত হইতে থাকে । কমলা পিতার পদধূলি লইয়া, তঁহাকে দুই হাতে জড়াইয়া নীরবে: [ ०१