পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা - - - - - - - আমি প্রায়ই তাদের বাড়ীতে যাওয়া-আসা ক’র তুম। একদিন—লে তখন কুমারী, তাদের বাড়ীতে হঠাৎ গিয়ে দেখি, সে মেজেতে ঘুমিয়ে র’য়েছে। সেটা গ্ৰীষ্মকাল। তার মুখখানিতে বিন্দু বিন্দু ঘাম ফুটে উঠেছিল। আমার মনে হল, যেন একটি পদ্মফুল ফুটে রয়েছেআর তার ওপরে ছোট ছোট মুক্তোর মত শিশিরের ফোঁট। জ’মে রয়েছে! মেঘের মত ঘন-কালো রঙের চেয়েও কালে এলো চুলের রাশি মেজেতে লুটিয়ে পড়েছে!—মনে হ’ল যেন খানিকটা কালো মেঘের সঙ্গে একটা বিদ্যুৎ মাটীতে, খসে প’ড়ে রয়েছে। তার সে যে কি রূপ-আর কত রূপ তা ব’লতে পারি না । মানুষের যে তত রূপ সম্ভব হ’তে পারে। তাই বিশ্বাস হয়। না ! আমি অবাক হ’য়ে, তার সেই অসামাগা রূপের পানে চেয়ে কতক্ষণ দাড়িয়ে ছিলুম তা ব’লতে পারি না,-হঠাৎ দেখতে পেলুম, সে তাড়াতাড়ি উঠেই কটাক্ষে একবার আমার পানে চেয়ে, একটু হেসে ঘর থেকে চ’লে গেল। আমার মনে হ’ল, যেন দিনটা অকস্মাৎ রাত হ’য়ে গেছে,-সংসারটা একটা প্ৰকাণ্ড শূন্য হ’য়ে গেছে! সে শূন্যের মধ্যে প’ড়ে আছি আমি একা!! তার সে কটাক্ষটা যে তিরস্কার তা বেশ বুঝতে পারলুম ; কিন্তু বুঝতে পারলুম না, সে হাসিটা কেন! সে হাসিতে যেন অমৃতের ফেনী উছলে পড়তেছিল! আমি সে মধুর, শুভ্ৰ হাসির অমৃত-মন্দিরায় মুগ্ধ হ’য়ে, মত্ত হ’য়ে, হৃদয়ের স্তরে স্তরে সেই ঘুমন্ত মূৰ্ত্তিটি একে নিয়ে উদাসমনে বাড়ী ফিরে এলুম। দু'দশ দিন চ’লে গেল, আমার মুগ্ধমনের সে উদাসভাবটা একটুও কম হ’ল না। পূর্বে তা আরও কত দিন কত শত বার তাকে দেখেছি ; কিন্তু সেদিন যে কি চােখে তাকে দেখে এলুম তা खांर्निन,- &88