পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कभवन বেশ করেছ; তবে কথা হ’চ্ছে খুড়ী-ঠাকুরুণ যাকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন তাকে বাড়ীতে রাখাটা নিতান্ত অমনি আমনি যাবে না ।” , তরঙ্গিণীর প্রথম বিস্ময়ের সে জড়তাটা নিমেষে ক্ষিপ্ৰতায় পরিণত হইল। সে আর কোন কথা না কহিয়া, অদ্ধনিদ্রিত শিশুকে শয্যায় ফেলিয়াই তীরের মত ছুটিয়া অন্ধকারে মিশাইয়া গেল এবং দুই বাড়ীর চারি পাশ খুজিয়া যখন কমলাকে দেখিতে পাইল না, সে আর অন্য কোথাও খুজিতে না গিয়া একেবারে গঙ্গাতীরে ছুটিয়া আসিয়াছে। তিরঙ্গিণী কমলাকে দুই হাতে জড়াইয়া ধরিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “আমাকে না ব’লে সে বড় পালিয়ে যাচ্ছিলি ?” কমলা তাহার উত্তরে কেবল কঁাদিল । প্রিয়জনের সমক্ষে হলদয়ের নিরুদ্ধ দুঃখ, বিষাদ ও অভিমান যেন বিবৃত দ্বারা পাইয়া সহস্রধারায় প্রবাতিত হইয়া থাকে। কমলা তরঙ্গিণীর বক্ষে মুখ রাখিয়া আবেগভরে কঁদিতে লাগিল। তাহার অশ্রুর নদীতে আজ যেন বন্যা উপস্থিত হইয়াছিল। তরঙ্গিণীরও সে বিষয়ে বড় ত্রুটি হইল না ; দুই জনে গলা জড়া জড়ি করিয়া, গঙ্গাজলে দাড়াইয়া অনেকক্ষণ নীরবে নয়নাম্বু বিসর্জন করিল। শেষে তরঙ্গিণী একটু দৃঢ় হইয়া, কমলাকে অনেক বুঝাইয়া তাহাকে গৃহভিমুখে টানিয়া লইয়া চলিল । মোহিনীর চক্ষে ঘুম ছিল না। অন্তঃপুত্রদ্ধারে মৃত্যু করাঘাতের শব্দ শুনিতে পাইয়াই সে ছুটিয়া আসিয়া দ্বার খুলিয়া দিল। তরঙ্গিণী রোরুদ্যমান। অনীপিসাতগমন বিষাদবিবশ সঙ্গিনীকে টানিয়া লইয়া গিয়া কাত্যায়নীর ঘুম ভাঙ্গাইল, এবং মিনতি কবিয়া তঁহাকে অনেক বলিল, কিন্তু তাহার ওকালতীতে কিছুই হইল না। তিনি মেঘমন্দ্রের ন্যায় গভীরস্বরে বলিলেন, “তখন লার্থী মেরে গলা টিপে বার ক’রে দিয়েছি, এবার এলে هما