পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कमत সংসারের খরচ পত্র সে অনেক দিকে অনেক কমাইতে লাগিল । সুৰ্য্যনারাযুণকে বুঝিতে না দিয়া আহারাদির ব্যবস্থায় যতটুকু ব্যয়সংক্ষেপ সাধিত হইতে পারে তাহা করিল । “আমি যত দিন আছি তত দিন এ খরচটা কেন”-বলিয়া পাচিকাকেও ছাড়াইয়া দিল। হাতে কাজ থাকিলে ভাবনা কম হইবে ভাবিয়া সূৰ্য্যনারায়ণ তাহাতে আপত্তি করিলেন না । যাহা ঘটিবার আশা আতি অল্প তাঙ্গারই অপেক্ষায় পিতা পুত্রীর দিনগুলি দুঃখে৷ অতিবাহিত হইতে লাগিল । কমলার নির্বাসন হইতেই সুধাংশু যেন কেমন হইয়া গিয়াছিলসংসারের সর্ববিধ বন্ধনের বিদ্রোহী হইয়া উঠিতেছিল। কাহারও কথা তাহাকে ভাল লাগিতা না, কাহারও সঙ্গে সে ভাল করিয়া কথাবাৰ্ত্তাও কহিত না, বাদ্যযন্ত্র সব বিলাইয়া দিয়াছিল, সৰ্ব্বদাই কেবল “পালাই’ ‘পালাই” করিত। কিছুদিন হইল সে একটা চাকরী লইয়া দূর দেশে চলিয়া গিয়াছে। বিরাজ মানা করিয়াছিল, সে তাঙ্গা শুনে নাই। তাহার এই অবাধ্যতাটা যেন একটা কঁাটার মত বিরাজের মনে লাগিয়া আছে। । মধ্যাহ্নে একদিন একটা কিসের ছুটীর দিনে বিরাজ কলিকাতার বাসায় একাকী বসিয়া সুধাংশুর একখানা পত্ৰ পড়িতেছিল । সুধাংশু । লিখিয়াছিল,-“দাদা, তোমার পাশে বসিয়া সেই যে আমাদের দেশের গঙ্গার একটুখানি জলে ছোট ছোট ঢেউগুলির রঙ্গ দেখিতাম, সেই ঘর বাড়ী আর গাছের বেড়ার মধ্যে একটুখানি নীল আকাশ দেখিতে পাইতাম, তাহাই কত সুন্দর মনে হইত! এখন অসীম সাগরের অগাধ জলে [ ኴ”›