পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> > ミ করুণ! উঠিত, কিন্তু অন্ত ভালুমিত্রের মুখমণ্ডল গম্ভীর, অন্ত চিরবাঞ্জিতের ওষ্ট যুগলে প্রিয়সমাগমজনিত হাস্ত-রেখা দর্শনে তাহার অধরে সে তাস্তের প্রতিবিম্ব পড়িল না। করুণাদেবী তাহ দেখিয়া বিস্মিত হইলেন এবং কহিলেন, “কি হইয়াছে ? কথা কহিতেছ না কেন ?” ভাগ্নমিত্র অন্স দিকে মুখ ফিরাইয়া কহিলেন, “বিদায় লইতে আসিয়াছি, করুণ ” আসন ত্যাগ করিয়া করুণ মৃণালকোমল বাহুযুগল দিয়া ভালুমিত্রের কণ্ঠ বেষ্টন করিয়া কঠিলেন, “ছি, অমন কথা মুখে আনিতে নাই, কি হইয়াছে বল না ?” o o করুণার কম্বুকণ্ঠ বক্ষে আকর্ষণ করিয়া আবেগরুদ্ধ কণ্ঠে ভাবিত্র কহিলেন, “মিথ্যা নহে, ছলনা নক্তে করুণ ! সত্য সত্যই বিদায় লঙ্গ আসিয়াছি—” গৌড়ীয় সেনাপতির কণ্ঠ রুদ্ধ হইল। করণ পুনরায় কহিলেন, “কি হইয়াছে, বলই না ? শাস্ত্র বল, নতুবা আমি কাদিয়া ফেলিব।” বহুকষ্ট্রে আত্মসম্বরণ করিয়া ভানুমিত্ৰ কহিলেন, “করুণ ! আমাকে অদ্যই পঞ্চনদে মাত্রা করিতে হইবে।” করুণ জিজ্ঞাস করিলেন, “কেন ?” “পঞ্চনদে যুদ্ধ বাধিয়াছে।” “তুমি ব্যতীত কি সাম্রাজ্যে আর সেনাপতি নাই ?” “মহারাজপুত্র স্বয়ং, অগ্নিগুপ্ত, যুবরাজ, কুমার হুষ গুপ্ত সকলেষ্ট যাইবেন ৷” “অতি উত্তম কথা, কিন্তু অন্তই যাইতে হইবে কেন ?" “আমাদিগকে বিদায় দিবার সময়ে মহারাজাধিরাজ ও মহামন্ত্রী অত্যন্ত বিচলিত হইয়া পড়িয়াছিলেন, সেইজন্য মহারাজপুত্র আদেশ করিয়াছেন যে, অন্ত সন্ধার পূৰ্ব্বে জালন্ধর যাত্রা করিতে হইবে।” ভৰ্ত্তার কণ্ঠ পরিত্যাগ করিয়া করুণা তাহার মুখের দিকে চাঠির হাসিয়া কছিলেন, “রসরাজ, পাটলিপুত্রে আসিয়া নূতন ধরণের রসিকতা শিখিয়াছ দেখিতেছি ! কি উদ্দেস্তে আমার জপের সময় স্পর্শ করিলে বল দেখি ? নগরে আসিয়া সুন্দর অভিনয় করিতে শিখিয়াছ।” কাতর 了。