পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᎼ8 করুণা কি আজ বুঝিলে ?” “রহস্য নহে করুণ! আমি যুদ্ধে যাইব, তোমাকে কোথায় হুইয়া যাইব ?” “আমিও বলিয়া রাখিতেছি যে, আমি না গেলে তোমার যাওয়া হইবে না।” “করুণ, আমি তোমার নিকট বিদায় লইতে আসিলাম, তুমি আবার এ কি বিপদ উপস্থিত করিলে?” “বিপদ নহে সম্পদ । আমাকে না দেখিলে তুমি একদণ্ডও তিষ্ঠিতে পরিবে না। যদি এক যাও, তাছা হইলে পথ হইতে ফিরিয়া আদিবে।” “আমি যাইব যুদ্ধে, তোমাকে লইয়া গিয়া রাখিব কোথায় ?” “তুমি যেখানে থাকিবে ।” “আমি ত স্কন্ধাবারে থাকিব ?” “তবে আনিও স্কন্ধাবারে থাকিব।” “স্কন্ধাবারে কি কুলবধূ বাস করিতে পারে?” “না পারি, নগরে থাকিব । পঞ্চনদ কি মরুভূমি হইয়াছে ? নগরহার, পুরুষপুর, তক্ষশিলা, সিংহপুর ও জালন্ধর কি উৎসন্ন হইয়াছে ? দেখ, পুরুষজাতি বড়হ বিশ্বাসঘাতক । তোমার কথায় বিশ্বাস নাই,—তুমি হয়ত আমাকে না বলিয়া পলাইবে, আমি মহাদেবীর নিকট চলিলাম।” করুণাদেবী প্রস্থান করিলেন, ভানুমিত্র কিৎক্ষণ কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া দাড়াইয়া রঙ্গিলেন, পরে করুণার উদ্দেশে গোবিন্দের মন্দির-প্রাঙ্গণ পরিত্যাগ করিলেন । তিনি আন্তঃপুরে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন যে, পট্টমহাদেবীর আবাসের সম্মুখে ঋষভদেব দাড়াইয়া আছে। তিনি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ঋষভ, কতক্ষণ আসিয়াছ ?” ব্রাহ্মণ বিমর্যবদনে কহিল, “প্রায় দুইদণ্ড পূৰ্ব্বে। এখন কোথায় যাইতে হইবে ?” “আমি ভাবিতেছিলাম তোমাক গৌড়ে পাঠাইব, কিন্তু করুণা আমাকে বড় বিপদে ফেলিয়াছে, সে কোন মতেই গৌড়ে ফিরিতে চাহে না।” “তোমরা গৌড়ে ফিরিবে বটে কিন্তু আমি আর ফিরিব না।” “কেন ঋষভ, কেন ফিরিবে না ?” “কাপালিক বলিয়া গিয়াছে যে দেশে প্রত্যাবর্তন আমার অদৃষ্টে নাই। ভানু, তুমি যখন দেশে ফিরিবে তখন আমার একটি ঋণ শোধ করিও।” “ঋষভ, তুমি কি পাগল হইয়াছ ?” “আমি পাগল