পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ >8> “ভয় নাই কৃষ্ণ, একটি কেশে কি অমঙ্গল হইতে পারে ? আমার আদেশ উঠাদিগকে স্পর্শ করিও না ।” s বৃদ্ধ মহাপ্রতাঙ্গর অভিবাদন করিতে বিস্কৃত হইয়া দ্রুতপদে শু্যামামন্দির পরিত্যাগ করিলেন। দান শেষ করিয়া বৃদ্ধ মহাদগুনায়ক রামগুপ্ত প্রাসাদের অঙ্গনে একটি পাষাণনিৰ্ম্মিত তোরণের ছায়ায় বিশ্রাম করিতেছিলেন, সহসা নগ্নপদ নগ্নশর্ষ বুদ্ধ মহা প্রতীক্ষারকে দ্রুতপদে তোরণাভিমুখে গমন করিতে দেখিয়া তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “কৃষ্ণ, কোথায় যাও ?” কৃষ্ণ গুপ্ত মুখ না ফিরাইয়া কহিলেন, “পিতৃব্য, বিষম বিপদ, মহাপুরোহিতকে আহবান করুন।” রামগুপ্ত জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেন ?” কিন্তু মহাপ্রতীহার তাহ শুনিতে পাইলেন না । তৃতীয় চত্বরের তোরণে রামগুপ্তের সুসজ্জিত রথ দাড়াইয়াছিল, কৃষ্ণগুপ্ত তাহাতে আরোহণ করিয়া সারথিকে নগরে যাইতে আদেশ করিলেন । সারথি প্রথমে সামান্তব্যক্তি জ্ঞানে পর্যষকণ্ঠে তাঙ্গকে নামিয়া যাইতে আদেশ করিল, কিন্তু পরক্ষণেই সাম্রাজ্যের মহা প্রতীহারকে চিনিতে পারিয়া অভিবাদন করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “দেব, কোথায় যাইব ?” “নগর প্রান্তে—ভিক্ষুপৰ্ব্বতে ।” অষ্টশতবর্ষ পূৰ্ব্বে আর্যাবৰ্ত্ত ও দক্ষিণাত্যের একমাত্র অধীশ্বর অশোক সংসারত্যাগী প্রিয়পুত্রের আবাসের জন্ত পাটলিপুত্র নগরে একটি কৃত্রিম শৈল নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন, খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দী পৰ্য্যন্ত তাঙ্গর ধ্বংসাবশেষ বিদ্যমান ছিল । মহাদণ্ডনায়কের রথে আরোহণ করিয়া কৃষ্ণগুপ্ত অশোকনিৰ্ম্মিত এই কৃত্রিম শৈলভিমুখে বাত্রা করিয়াছিলেন। পাটলিপুত্র নগরে অশোকের সংসারর্তাগী পুত্র “ভিক্ষুকুমার” ও কৃত্রিম শৈল ‘ভিক্ষুপৰ্ব্বত” নামে পরিচিত ছিল। অদ্যাবধি পাটলিপুত্রিক নাগরিক "ভিখন কুঁয়ার” ও “ভিনা পাহাড়ী” নামন্বয় বিস্তৃত হয় নাই। রথ