পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>brや করুণ। অধীশ্বর পরমেশ্বর পরমবৈষ্ণব পরমভট্টারক মহারাজ গোবিন্দ গুপ্ত নীলমণি দর্শনে মূচ্ছিত হইয়া বালীকার আদ্রসৈকতে পতিত হইলেন। যখন তাহার চেতনা ফিরিল তথন বাহুলীকার পরপারে সহস্ৰ সহস্র উস্কার আলোক ফুটরা উঠিয়াছ, নাসারগণ সংবাদ আনিয়াছে যুবরাজ যুদ্ধজয় করিয়া শিবিরে ফিরিয়া আসিয়াছেন । গোবিন্দগুপ্ত অশ্ব ও বৰ্ম্ম আনয়ন করিতে আদেশ করিয়া মুরারিকে আহবান করিলেন । মুরারি অসিবার পূৰ্ব্বেই সুবরাজ আসিয়া পিতৃব্যের পাদব্যদনা করিলেন । মহারাজপুত্র আসন ত্যাগ করিয়া হৰ্ণবিজয়ী ভ্রাতুপুত্রকে আলিঙ্গন করিলেন, সেই সময়ে দুই বিন্দু তপ্ত অশ্র স্কন গুপ্তের গণ্ডস্থলে পতিত হইল। যুবরাজ চমকিত হইয়া পিতৃব্যের মুখপানে চাঙ্গিলেন এবং দেখিলেন, মহারাজপুত্রের গণ্ডস্থল বহিয়া অশ্রধারা প্রবাহিত হইতেছে। স্কন্দগুপ্ত বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “পিতৃবা, আপনার নয়নে অশ্র কেন ?” রুদ্ধকণ্ঠে গোবিন্দগুপ্ত কছিলেন, “পুত্র, চঞ্চল হইও না, আমি এখনই পাটলিপুত্র যাত্রা কৃরিব।” “কেন তাত ?” “রাজকাৰ্য্যে, অন্ত কথা জিজ্ঞাসা করিও না। শুন পুত্র, শোণিতসম্বন্ধ ক্ষণকালের জন্য বিস্কৃত হও । আমি সেনাপতি, তুমি সৈনিক, যাহা আদেশ করিতেছি, বর্ণে বর্ণে তাহা প্রতিপালিত করিও, অন্তথা করিও না।” স্কন গুপ্ত অত্যন্ত বিস্মিত হইয়া পিতৃব্যের মুখের দিকে চাছিলেন। গোবিন্দ গুপ্ত পুনৰ্ব্বার বলিতে আরম্ভ করিলেন, “পুত্র, রাজকাৰ্য্যে পাটলিপুত্রে চলিয়াছি, কবে ফিরিব তাছা বলিতে পারি না, এখন হইতে তুমি মাগধসেনার সেনাপতি। স্মরণ রাখিও, লক্ষ লক্ষ নরনারীর ধন, প্রাণ ও মান তোমার বাহুবলের, তোমার মানসিক শক্তির ও তোমার ধৈৰ্য্যের উপর নির্ভর করিবে । আত্মাভিমান বিস্তৃত্যু হও, অহঙ্কার ত্যাগ কর । মনে জানিও, তুমি আর্য্যাবৰ্ত্তের তোরণের প্রতীহার মাত্র । রাজা রসাতলে । যাউক, মগধ জলধিজলে মগ্ন হউক, আত্মীয়-স্বজন ধরিত্রবক্ষ হইতে বিলুপ্ত