পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ 8 e করুণা আমাকে ডাকিতেছে, তাহারা যেন পা টিপিয়া টিপিয়া নিকটে আসে, , কিন্তু আমি তাঙ্গাদিগের দিকে চাহিলে দূরে পলাইয়া যায়। তাহারা কে বাবা ?” “নারায়ণ, অনাথার দুশ্চিন্তা দূর কর, চঞ্চলমতি বালিকার চঞ্চল-চিত্ত তোমার পদারবিন্দে স্থির কর । মা, বল দেখি গোপাল কেমন ?” “এই যে বলিলে সেই রাখাল-বালকের মত ?” “বল দেখি তাঙ্গর মুখখানি কেমন সুন্দর ?” “অতি সুন্দর, কিন্তু তাঙ্গর চক্ষু দুইটি যে অশ্রুভব !” “মা, গোপাল বড় কোমলহৃদয়, বড় দুঃখকাতর । জগতে দুঃখ দেখিলে গোপালের অাকৰ্ণবিশ্রান্ত নীল নয়ন দুইটি জলে ভরিয়া যায় ।” “গোপাল যদি দুঃখ বিমোচন করেন তবে তিনি নিজে দুঃখ পান কেন ?” “মা, সে কৰ্ম্মফল।” “আবার শক্তকথা বলিতেছে বাবা ; তুমি ঘুমাও, আমি গোপালের ধ্যান করিতেছি।” সেই সময়ে বিপাশার পশ্চিম তীরবর্তী বনমধ্যে অন্ধকারে ষোড়শজন বাহক একখানি বহুমূল্য শিবিক লইয়া দ্রুতপদে চলিতেছিল, নদীর নিকটে আসিয়া পরপারস্থিত হুণস্কন্ধাবারের কোলাহল শুনিয়া বাহকগণ স্থির হইয়া দাড়াইল। শিবিক হইতে আরোহী জিজ্ঞাসা করিল, “কি হইয়াছে, দাড়াইলি কেন ?” একজন বাহক কহিল, “প্রভু, পথ ভুলিয়া বোধ হয় অনেক দূর উত্তরে চলিয়া আসিয়াছি, অন্ধকারে কোন দিকে যাইতেছি তাহা বুঝিতে পারিতেছি না ; দূর হইতে গোলমাল শুনা যাইতেছে। আজি আর পথ চলিয়া কাজ নাই।” “তোর বুদ্ধি শুনিয়া আবার আমি হণের হাতে ধরা পড়ি আর কি ? যুদ্ধ করিতে হয় ত ইন্দ্ৰলেখা আসিয়া করিবে এ আমার কার্য্য নহে।” “প্ৰভু রাত্রিটা এই বনে কাটাইলে ভাল হইত।” “শীঘ্ৰ চল নতুবা নামিয়া সকলকেই কাটিয়া ফেলিব।” বাহকগণ অগত্যা শিবিক উঠাইল এবং অদ্ধ দণ্ডমধ্যে বিপাশাতীরে হণস্কন্ধাবারের পত্নপারে আসিয়া উপস্থিত হইল । সৈকতে দাড়াইয় বাহকগণ পুনৰ্ব্বার কহিল, “প্রভু, আর অগ্রসর হইয়া কাজ নাই, পরপারে