পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*b* করুণা গোবিন্দ গুপ্ত একজন দণ্ডধরকে ডাকিয়া রমণীকে ফিরাইয়া আনিতে আদেশ করিলেন, সে ফিরিলে মহারাজপুত্ৰ কহিলেন, “বলিও সাক্ষাৎ করিব, কিন্তু সে গৃষ্ঠে নহে, কুঙ্কটারামের বিহারে যেরূপ করিয়া সাক্ষাং তইত, তেমন করিয়াই হইবে।” রমণী পুনরায় অভিবাদন করিয়া চলিয়া গেল । তৃতীয় প্রচুর রাত্ৰিতে মহা প্ৰতীহার কৃষ্ণগুপ্ত মহারাজপুত্রের আদেশে ঠাঙ্গর পুরাতন ভূতা মুরারীর সন্ধান করিতে নির্গত হইলেন। দশম পরিচ্ছেদ • ভোজন-দক্ষিণ ঋষভদেব ও তাহার অপরিচিত বন্ধু পাটলিপুত্রের সঙ্কীর্ণ বক্রগতি পথে অন্ধকারময় গৃহে প্রবেশ করিলে গৃহদ্বার রুদ্ধ হইল। সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকার হইতে জিজ্ঞাসা হইল—“তোমরা কে ?” ঋষভদেবের আশ্রয়দাতা উত্তর দিল, “বনের পার্থী। পুনরায় জিজ্ঞাসা কইল,—“কোথা হইতে আসিলে ?” “পিঞ্জর হইতে ” “কেমন করিয়া ?” “শিকল ছিড়িয়া।” “তোমরা কোন বনের পাখী?” “বৃন্দাবনের”— তখন প্রশ্নকারীর স্বর পরিবর্তিত হইল । সে এতক্ষণ বিকৃত অনুনাসিক স্বরে কথা কহিতেছিল, এখন স্বাভাবিক স্বরে জিজ্ঞাসা করিল, “কে তুমি ?” উত্তর হইল “শৰ্ব্বনাগ।” সহসা কক্ষের বাতায়ন-পথে প্রদীপ জলিয়া উঠিল, দীর্ঘশ্মশ্র একব্যক্তি জিজ্ঞাসা করিল, “পলাইলে কেমন t