পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৮৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b- og কলিকাতা সেকালের ও একালের । প্রবন্ধ লেখক প্রাণকৃষ্ণ দত্ত মহাশয়ের ধারণ অন্তরূপ। তিনি বলেন– “পূৰ্ব্বে খামাচরণ মুখোপাধ্যায় বলিয়া একজন ব্রাহ্মণ এ অঞ্চলে বাস করিতেন। তাহার বাটীর সান্নিধ্যে, তাহার নিজব্যয়ে খনিত, দীঘির নামই শু্যামপুকুর। স্যামবাজারও তাঁহারই সম্পত্তি।” ইহাই যেন সঙ্গত শিক্ষা বলিয়া বোধ হয়। শু্যামবাবুর পুত্ৰ মনোহর মুখোপাধ্যায় এই পল্লীর সামিয়ে একটা বালাখানা বা বৈঠকখানা নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। অশ্মির ম্যাপে উক্ত বালাখানার চিত্র অঙ্কিত অাছে। এখনও এই স্থান “বালাখান-স্ট্রট” বলিয়া পরিচিত। এই সকল কারণে প্রাণকৃষ্ণ বাবুর সিদ্ধান্তই সম্ভবপর বলিয়া বোধ হয় । নন্দরাম সেনের স্ট্রীট । নন্দরাম সেন কলিকাতার একজন প্রাচীন অধিবাসী। কুমারটুলী ওয়ার্ডে, র্তাহার নাম সংযুক্ত এই গলিটী আজও বৰ্ত্তমান । এই নন্দরাম সেন কোম্পানীর প্রথম আমলে গোবিন্দরাম মিত্রের হার একজন ব্ল্যাক-ডেপুটী ছিলেন। ১৭০০ খ্ৰীঃ অব্দে কলিকাতায় প্রথম কালেষ্টার নিযুক্ত হন—বাল্ফ শেল্ডন । নন্দরাম বাবু, এই শেলডনের সহকারী ছিলেন। ইহার পরবর্তী কালেক্টর, বেঞ্জামিনবোঁচার তহবিল তছরূপ অভিযোগে, সেনজাকে পদচ্যত করেন। ১৭•৭ খ, অব্দের পর, নন্দরাম পুনরায় পুৰ্ব্বপদে নিয়োজিত হন । তহবিল তছরূপ অপরাধে, কোম্পানী যে সময়ে তাহাকে গ্রেপ্তার করিবার চেষ্টা করেন, সেই সময়ে তিনি, হুগলির মুসলমান ফৌজদারের নিকট পলায়ন করেন। কিন্তু ইংরাজ-কোম্পানির অধ্যক্ষ, হুগলীং । ফৌজদারকে লিখিয়া, পুনরায় তাহাকে প্রহরী বেষ্টিত অবস্থায় কলিকাতায় । আনেন ও কারাবদ্ধ করেন। প্ররিশেষে নন্দরাম, কোম্পানীর দাবির টাকা দিয়া কণয়ামুক্ত হন। “রথতলা-ঘাট” ইষ্টারই নিৰ্ম্মিত । অভয়চরণ মিত্রের ষ্ট্রীট। অভয়চরণ মিত্র মহাশয়, ব্লাক-জমীদার গোবিন্দরামের বংশধর। অভয়বাবু ২৪ পরগণার কলেক্টর সাহেবের অধীনে দেওয়ানী করিতেন। প্রবাদ এই, তাহার গুরুকে তিনি লাখ টাকা দান করিয়াছিলেন - কুমারটুলীর মিত্র-পরিবার বরাবরই ধনাঢ্য। অভয়চরণের পূর্বপুল ---

  • হাটখোলার দন্ত পরিবারের কোন মহাত্মার সম্বন্ধে, গুরুকে এইরূপ লাখ টাকা দি একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে । -