পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दांछछांद्र कोडिकविड 及S নিমগন ! বাঙ্গলা দেখিল, তাহার আশে পাশে এত রূপ, এত সুর, এত গান,-মন প্ৰাণ বিচিত্র রসে ভরিয়া উঠিল। ভরা প্ৰাণে ব্যাকুল হইয়া শুনিল, প্ৰাণের ভিতর কাহার সাড়া, কাহার আকুল আহবান । তখন বাঙ্গালীর কবি গাইয়া উঠিল,- “কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিল গো আকুল করিল মোর প্রাণ” বাঙ্গলা তখন প্ৰাণের ভিতর ডুব দিয়া দেখিল, কত মণি, কত মাণিক্য তাহার সেই আধার। প্ৰাণে পরতে পরতে আলোক বিকিরণ করিতেছে। ভাবিল, আমার প্রাণে কে আছে, কি আছে ? কে আমাকে বাহির হইতে রূপে, রসে, গানে, গন্ধে জড়াইয়া জড়াইয়া আকুল করে, আবার অন্তরের অন্তরে আসিয়া এমন করিয়া স্পর্শ করে ? কাহাকে ব্যক্ত করিতে চাই ? কে বিনা চেষ্টায় আপনা। আপনি এমন করিয়া ব্যক্ত হইয় উঠে ; বাঙ্গলা প্ৰাণে প্ৰাণে বুঝিল, এ যে বাহিরের ও ভিতরের এক অপূৰ্ব্ব মিলন। এই মিলন উপভোগ করিবার জন্য ব্যাকুল হইয়া উঠিল। চাহিয়া দেখল” অনন্ত সাগর দূরে যেখানে দিকচক্রবালের পরিধিপারে মিলিয়াছেন, সেখানে শুধু এক রেখার মত সরল, শান্ত নিবিড়, যেন মিলাইয়াও মিলায় নাই, মিশিয়াও মিশে নাই, প্ৰভেদ। অথচ অভেদ। আবার ফিরিয়া দেখিল ধরণী মহাকাশকে চুম্বন করিতেছে, ঢলিয়া পড়িয়া বলিতেছে, “হে আকাশ, আমাকে লওঁ, আমি যে তোমারই।” আকাশও ধারণীকে বুকের ভিতর টানিয়া লইয়াছে, বলিতেছে, “এস এস, আমি ত তোমারই ।” দেখিল, সে এক মহামিলন। বুঝিল, জন্মে জন্মে সকলই সার্থক ! জন্ম সাৰ্থক ! মৃত্যু সাৰ্থক ! দেহ সাৰ্থক ! প্ৰাণ সার্থক ! আত্মা সার্থক ! * এই মহামিলন সার্থক ! বাহির শুধু বাহির নয়, অন্তর শুধু অন্তর নয়। ইন্দ্ৰিয় দিয়া