পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গলার গীতিকবিতা 之@ ফুটিয়া উঠিতেছে। ভাব-সাগরের প্রতি ঢেউ উঠিয়া, দুলিয়া আপনার ইচ্ছায় খেলিয়া, আবার সাগরে মিলাইয়া যায়। জীবনের ধৰ্ম্ম ও বিকাশের ধৰ্ম্মই তাই। অনন্তকাল হইতে তাহ আছে, অনন্তকালই থাকিবে, তাই চণ্ডিদাস “গাইয়াছেন,- “মাটির জনম न्न छिल यथंन् ऊबन कब्रछि biय । দিবস রজনী न छ्व्लि थिंन्न তখন গণোছি মাস ।” সিতাসিত কাল পক্ষ, দিবস, রজনী, সবই ছিল, সবই আছে, সবই তেমনি করিয়া ফুটিয়া উঠিতেছে। প্ৰথম কথা, গীতি-কবিতার জন্ম কোথায়, কবিতা কি ? সাধারণতঃ সোজা কথায় হয় তা বলিতে পারা যায় যে, ছন্দোবন্ধ সুর-তালে বাধা কথাই কবিতা। সমাজ-বিজ্ঞানবিদ তাহার এক সামাজিকতত্ত্ব বাহির করিতে চান, মনস্তত্ত্ববিদ তাহার মানসিক বিশ্লেষণ করিতে পারেন। কিন্তু কল্প-কলার স্রষ্টা যে কবি, সে তাহার হৃদয়মাঝারে যে স্বচ্ছ-দৰ্পণখানি আছে, সেইখানে নয়ন ডুবাইয়া দেখে, সে উৎস কোথায়! প্ৰথম যুগে আদিম মানব যখন বহিঃপ্রকৃতির সহিত যুদ্ধ করিতে করিতে বাস করিত, গাছের ডাল ভাঙ্গিয়া, তৃণ দিয়া ছাইয়া, পাতা দিয়া ঘিরিয়া ; কুটীর রচনা করিয়া, আপনাদের থাকিবার মত আশ্ৰয় করিয়া লাইত ; তখন হইতেই তাহদের ভিতরে একটা সামাজিক ভাব পরস্পর পরম্পরের মধ্যে জাগিয়া উঠিত। তাহারা দলবদ্ধ হইয়া জীবন যাপন করিত। তখন তাহদের শিক্ষা, অনুশীলন, হাব-ভাব, আচার-ব্যবহারের ধারা সম্পূর্ণরূপে তাহদের স্বভাবের ভিতর দিয়াই ফুটিয়া উঠিত। সেই স্বভাব জাত সংস্কার, জ্ঞানে পরিণত হইবার পথে, স্বাভাবিক সুখ, দুঃখ, ভাৰ,