পাতা:কায়স্থ-তর্ক সমাধান.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २* ) কোন যজ্ঞাদিতে নিমন্ত্রণ করেন নাই, এরূপ শাস্ত্র বা ইতিহাস প্রমান দেখিতে পাওয়া যায় না। কুলীপিকার এই “ভূমিদেবান্‌স শূদ্রান্‌” পাঠ দেখিয়া যে কায়স্থ দিগকে শূদ্র অভিহিত করিতেছেন উহার পাঠ মুলগ্রন্থে ওরূপ নহে ঐ স্থলে 'সবীরা এইরূপ পাঠ আছে। বিশেষতঃ মহাবংশাবলীতে আমন্ত্রণ পত্র এইরূপ দেখিতে পাওয়া ষায় "ফুজিত সুগতবৃন্দে বঙ্গবাজ্যে মদীয়ে, দ্বিজকুলধর জাতঃ সাধুকম্পা প্রায়স্তু।” এক্ষণ এই স্থই আমন্ত্রণ পত্রের তুলনা কবিলে কি সুজিত ও সৰীবান বাক্যের সহিত দ্বিজকুলধরজাতার সমন্বয় করিলে সুসংস্থত ব্ৰাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়েব জন্য প্রর্থন বুঝায় না ? এতদ্ব্যতিত যখন আদিশূর নৃপতি ব্রাহ্মণদিগকে জানিতে পারিলেন ইগরা সেই আমন্ত্রিত ব্ৰাহ্মণ তখন সঙ্গীয় বীর দিগকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন আপনারাও কি এই সঙ্গে আসিয়াছেন। উত্তরে কায়স্তগণ বলিলেন “কোলাঞ্চাৎ পঞ্চশূরা বয়মপি নৃপতে কিঙ্কর ভূমুরানাম্।” হে নৃপতে । আমবা পঞ্চ বীর ও ব্রাহ্মণদিগের কিঙ্কর কোলাঞ্চ দেশ হইতেই আসিয়াছি। সিদ্ধান্ত ভূষণ এই পঞ্চশূরা পরিবর্তে “পঞ্চ শূদ্র” প্রয়োগ করিয়া ধৰ্ম্মশাস্ত্র একেৰারে পদদলিত করিয়াছেন । কেন না যাজ্ঞবল্ক্য ধৰ্ম্মশাস্ত্রে রহিয়াছে “বর্ণানামাকুলোম্যেন দাস্তং ন প্রতিলোমতঃ ” অর্থাৎ ব্রাহ্মণের দাস ক্ষত্রিয়, ক্ষত্রিয়ের দাস বৈশু, বৈপ্তের দাস শূদ্র এই অনুলোমক্রমে হইবে। শূদ্রের দাসু বৈগু ইত্যাদি প্রতিলোমক্রমে হুইবে না । ফলতঃ এভাবেও সুন্দরন্ধপে কায়স্তগণ ক্ষত্রির বলিয়াই প্রতিপাদিত হুইতেছেন । সিদ্ধান্তভূষণ এই কিঙ্কর ভূমুরানাম কথাটার বিকদ্ধে ভাব প্রকাশ করিয়াছেন যে গৌরবার্থ মিথ্য বাক্য প্রয়োগ করিলেও সত্য সত্য তাঁহা বলা হয় না।’ হে ব্ৰহ্মণ্য দেব । আপনি কি একেবারে অন্তহিত হইয়াছেন ? হে সত্য সনাতন দেব । আপনার নামে যাহারা ভবের হাটে বিক্রিত হইয়া