} কোরাণ শরিফ "ל ליף করিয়াছে নিশ্চয় পরমেশ্বর তাহাদিগকে জ্ঞাত আছেন এবং নিশ্চয় তিনি কপটদিগকে জ্ঞাত আছেন। ১১ । এবং কাফের লোকের। বিশ্বাসীদিগকে বলিয়াছে যে “ তোমরা আমাদিগের পথের অনু সরণ কর, এবং সম্ভবতঃ আমরা তোমাদের অপরাধ সকল বহন করিব ? এবং তাহার। তাহাদিগের অপরাধের কিঞ্চিম্মাত্র বহনকারী নহে, নিশ্চয় তাহারা মিথ্যাবাদী। ১২ । এবং একান্তই তাহার। আপন ভার ও আপন ভারের সঙ্গে ( অন্যের ) ভার বহন করিবে, তাহারা যে অসত্য বলিতেছিল কেয়ামতের দিনে একান্তই তদ্বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হইবে # । ১৩ । র, ১ এবং সত্য সত্যই আমি মুহাকে তাছার মণ্ডলীর প্রতি প্রেরণ করিয়াছিলাম, অনন্তর সে তাহাদিগের মধ্যে নয় শত পঞ্চাশ বৎসর স্থিতি করিয়াছিল, পরে জলপ্লাবন তাহাদিগকে আক্রমণ করিয়াছিল, এবং তাহার। অত্যtচারী ছিল ৭ । ১৪ । অবশেষে আমি তাহাকে ও নৌকাধিরূঢ় যুদ্ধে জয়লাভ হইলে লুষ্ঠিত সামগ্রীর অংশ পাইবার উদ্দেশ্যে বলে আমরাও তোমাদের সঙ্গে সমরে যোগ দিয়াছিলাম । (ত, হে, )
- অর্থাৎ কেয়ামতের দিনে কপট লোকেরা আপনাদের অপরাধের ভারের সঙ্গে যাহাদিগকে তাহারা বিপথগামী করিয়াছে তাহাদের অপরাধের ভারও বহন করিবে । (ত, হে, ) . .
কথিত আছে যে মহাপুরুষ মুহা চল্লিশ বৎসর বয়ঃক্রমকালে প্রেরিতত্ত্ব পদ লাভ করিয়া নম্ন শত পঞ্চাশ বৎসর সাধারণের নিকটে সুসমাচার প্রচার করিয়াছিলেন। জলপ্লাবনের পর ষাট বৎসর জীবিত ছিলেন। স্থলাত্তরে উক্ত হইয়াছে যে সহস্রাধিক চারি শত বৎসর মুহার বয়ঃক্রম ছিল, কেহ কেহ বলেন তিনি এতদপেক্ষা অধিককাল জীবিত ছিলেন । এই আয়ত হজরতের সাম্ভুনার জন্য প্রেরিত হইয়াছে, যেহেতু মুহা নয় শত পঞ্চাশ বৎসর দুঃসহ উৎপীড়ন সহ্য করিয়া প্রচার করিয়াছেন তিনি যখন এতাধিক কাল অত্যাচার সহ্য করিয়াছেন, তখন হজরতকেও উৎপীড়ন সহ্য করিতে হইবে । (ত, হে, )
