পাতা:গীতরত্ন গ্রন্থঃ (১৮৭০)- রামনিধি গুপ্ত.djvu/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৷৵৹ ]

না বলে কেমনে রব বল্যে বল কি করিব।
তোমা বিনে আর সেখানে কাহার গমনাগমন॥ ১ ॥
অন্যের আগমনীয় জান সে স্থান নিশ্চয়।
ইথে অনুমান এই হয় প্রাণ তুমি সে কারণ॥ ২ ৷৷
যদি তাহে থাকে ফল লয়েছ করেছ ভাল।
নাহি চাহি আমি যদি প্রাণ তুমি করাহ যতন॥ ৩ ॥

 তদনন্তর ১১৯৮ সালে জোড়াসাঁকো পল্লিতে দ্বিতীয়বার বিবাহ কৰিলেন সে সংসার অতি শীঘ্রই গত হইল, ইহানতে পুনঃ২ বিবাহ করণে নিতান্তই অনিচ্ছুক হইয়াছিলেন, কিন্তু কি করেন দৈব নির্ব্বন্ধ খণ্ডন হইবার নহৈ নানা প্রকার অনুরোধ বশতঃ ১২০১ কিম্বা ২ হায়নে “বরিঝাটী চণ্ডীতলা,, গ্রামের হরিনারায়ণ সেন মহাশয়ের তৃতীয়া কস্তাকে তৃতীয় পক্ষে উদ্বাহ করিলেন, এই সংসারে তাহার চারিটি পুত্র ও দুইটি কন্যা জন্মে তন্মধ্যে প্রথম পুত্র ও কনিষ্ঠ পুত্র এবং জ্যেষ্ঠা কন্যা লোকান্তরিত হইয়াছেন, এইক্ষণে জ্যেষ্ঠ পুত্র শ্রীজয়গোপাল গুপ্ত এবং কনিষ্ঠ শ্রীসুখময় গুপ্ত এবং ইহাঁরদিগের কনিষ্ঠা ভগ্নী জীবিত আছেন ইহাঁরদিগের সকলেরই দুই একটি উপযুক্ত পুত্র এবং কন্যা জন্মিয়াছে।

 গুরুচরণ কবিরাজ ও গুরুদাস কবিরাজ নিধুবাবুর এই দুইজন ভাগিনেয় অতিশয় কৃতবিদ্য হইয়াছিলেন, বাবু তাহারদিগকে প্রাণাধিক জ্ঞানে যথোচিত স্নেহ করিতেন, ইহারা উভয়েই তাঁহার সংসারে প্রতিপালিত হইয়া যৌবনাবস্থার মায়িক দেহ পরিহার করাতে তিনি অত্যন্ত কাতর হইলেন এবং তদবধি সাংসারিক সুখসম্বন্ধে এককালেই আসক্তি হীন হইলেন, কি ঐশ্বর্য্য কি পরিজন‘ কাহার প্রতি আর কিঞ্চিৎ মাত্র যত্ন করিতেন না গৃহে থাকিয়া উদাসীনের ন্যায় ব্যবহার করিতে লাগিলেন।

 ইনি উপকার ধর্ম্মকে পরম ধর্ম্ম জ্ঞান করিয়া সাধ্যানুসারে