দৈবক মুনি জাত্রা করিল কানি নঙ্গুল সুঙ্গিয়া॥[১]৯০
কানি নঙ্গুল চক্খে নাগি গ্যাল উলটিয়া।
ফির জাত্রা কইল্ল ঠাকুর ছাইলাক পুছ করিয়া॥
পালঙ্গ হতে উঠতে ঠাকুরের ধুতি গেইল ফাড়িয়া॥
ও ব্যালকা জাত্রা ঠাকুরের না দেখিলাম ভাল।
পালঙ্গ হইতে দাড়াইতে মাথাএ ঠেকিল চাল॥৯৫
তবু আরো দৈবক ঠাকুর জাত্রা করিল।
খালি কলসি ম্যালা চুল দুআরে দেখিল॥
চন্দন বিরিখের ডালোত কাগা আছেত পড়িয়া।
কুসাইত দেখি নিসেধ করে ঠাকুরক নাগিয়া॥
আইজকার মোনে থাক ঠাকুর ধৈরন ধরিয়া।
কাইল জাত্রা করেন ধরম স্মহরিয়া॥১০০
ধরম জানি বনের কাগা নিসেধ করিল।
ক্রোদ্দ হৈয়া দৈবক মুনি ক্রোদ্দে জলি গ্যাল॥
- ↑ পাঠান্তরঃ—
শালকিরানি ধুতি নইলে গোড়া ছেচুরিয়া।
শালবন পেটুকা নিলে কমরে বান্দিয়া॥
চাল্লিশ পাগড়ি বান্দে পাক্মোড়া দিয়া।
ডাইন হস্তে বাজুবন্দ বাম হস্তে কোড়া।
গলাএ তুলিয়া দিলে সোবন্নের কণ্ঠমালা॥
ভাল মানুসে জাত্রা করে দিন বার গনিয়া।
পণ্ডিত বেটা করে জাত্রা পণ্ডিতানিক পুছিয়া॥
ভাল মানুসে করে জাত্রা নাগারা টুকিয়া।
পণ্ডিত বেটা করে জাত্রা কানি নৌক সুঙ্গিয়া॥
গ্রীয়ার্সন সাহেবের সংগৃহীত পাঠঃ—
চটক ধুতি মঠক ধুতি পরিধান করিয়া।
জোড় জোড় পৈতা দিলে গলায় তুলিয়া॥
পঞ্জিকার দফ্তর নইল বগলে ডাবিয়া।
রাজ দরবারক লাগিয়া চলিল হাঁটিয়া॥