পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আছে বলে ভেবে পাইনে। ঢালু গর্তের দিকে সেই রিপুর চলেছে ধাক্কা যে রিপু বহুযুগ ধরে এসিয়া ও আফ্রিকার দুই দুর্বল মহাদেশ থেকে আপন অশুচি খাদ্য জুগিয়ে নিরাপদে পরিপুষ্ট হয়েছে ; তার মুরুবিবরা ভাবতে পারে নি একদিন এর শোধ তুলবে তাদের সুযোগবঞ্চিত স্বগোত্রীয়রাই। মারের ঘূর্ণিপাক চলেছে, অস্ত্রের পিছনে অস্ত্র, চলেছে অন্তহীন গণিতের পথে— এ থামবে কোথায় ? - তাদের ভোজের উচ্ছিষ্টের পিচ্ছিলপথে চলচে হানাহানি, দেখতে হয়েছে কুৎসিত। সঙ্কটের দিনে এরা শান্তি চায় কিন্তু ক্ষেত্র পরিষ্কার করতে চায় না। আমাকে তোমরা বলচ কিছু লিখতে, কোন পক্ষের মনের মতো কথা বলি ভেবে পাইনে। এদিকে আমার শরীর অপটু, কলম চলচে খুড়িয়ে । মনে যে একটা নৈরাশ্ব ঘনিয়েছে তার ধাক্কা খেয়ে মনে ভাবচি ব্যক্তিগত জীবনের যে একটা স্বাতন্ত্র্য আছে তারি চারিদিকে কাব্যের প্যাটার গেথে নিভৃতে একাধিপত্য করব নিজের মনোজগতে, তার সাহায্য করবে চারিদিকের গাছপালা, ঋতু-পর্যায়। একে কি বলবে আত্মকৈন্দ্রিক জীবন ? ঠিক তা নয়। এর কেন্দ্র আছে সেই বিরাটের মধ্যে যা সমস্ত মলিনতা, জটিলতা, আবিলতার মধ্যে থেকেও তাকে অতিক্রম করে বিরাজ করচে । হাজার বছর কেটে গেছে কিন্তু পৈশাচিক ইতিহাসে মানুষের দুঃখ আজকের দিনের চেয়ে কম ছিল না, যখন মধ্যএসিয়ার তুরাণী লুঠকারীর দল অগণিত নরকঙ্কাল বিছিয়ে চলেছিল তুর্দান্ত দস্থ্যবৃত্তির পথে, যখন এসীরিয়ার নিষ্ঠুরতা মানবপীড়নের কোনো সীমা মানে নি, \O e \O