পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষে এসে আমি মহাত্মাজিকে দেখলুম তিনি তার আইডিয়ালকে ভারতপলিটিক্সের বেষ্টনীর মধ্যে বেড়ার মধ্যেকার ধেমুর মত পুরে রেখেচেন। আমি বরাবর এই কথাই জানি যে, যে-আইডিয়াল দেশের চেয়ে বড় সেই আইডিয়ালেই দেশ বড় হয় । এরা সকলেই বলেন, আগে দেশের আইডিয়ালকে মানি তার পরে সৰ্ব্বজনীন আইডিয়ালকে মান সম্ভব হবে। এরা ভুলে যান ব্যক্তিবিশেষের বিশেষ রোগ যে আরোগ্যতত্ত্বের সাহায্যে সারে সেই আরোগ্যতত্ত্ব সকল ব্যক্তিরই। দেহের আকৃতি (physiognomy) প্রত্যেক দেহের পক্ষে স্বতন্ত্র, কিন্তু দেহের মূল প্রকৃতি সাধারণ দেহতত্ত্বের (physiology) অন্তর্গত। যে পরিমাণে মনুষ্যত্বকে লাভ করব সেই পরিমাণেই দেশকে লাভ করব । পশ্চিমের মনুষ্যত্বকে বজন করাই যাদের মতে প্রাচ্যের মনুষ্যত্বের সাধন। র্তারা হয়ত কোনদিন এমন কথা বলবেন, পশ্চিমের হতভাগ্য লোকদের পক্ষে পৃথিবী নিরবলম্বভাবে সূর্য্যের চারদিকে ঘুরে মরচে, কিন্তু ভারতবর্ষের দেবামুগৃহীত মানুষদের পক্ষে পৃথিবী বাসুকির ফণার উপর স্থির হয়ে নিদ্রা দিচ্চেন । যাই হোক দেশের লোকের মন সম্প্রতি গুরু-ভারপীড়িত। চরখা ও খদ[দারের ধ্যানে নিমগ্ন । এবং এমন একটি আকাশকে অবলম্বন করবার চেষ্টা করচে যার কেবলমাত্র পূর্বদিকই আছে পশ্চিমদিকের লেশমাত্রও নেই। আমি “মুক্তধারা” বলে একটি ছোট নাটক লিখেচি ७२० छ्