পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ës *阿简节 Na a a~N-N-N- aNTRIN N-1,N-AN-NA-NIMANJMN-TR-IN-N SqSASASASq SqLS LSL LSL S L S LSLSLq qSLq LSAeALAL SASLS SqLSLLMLLLLSSSL SLLSL LLLLL LLLLLL qq LqL SLLLL LL LLLLL S LAL SLLLS LLL LLLLA SALL LLLLL LL LLLLLLLLMLMLLLLLLLAL একদিন বোধিসত্ন ভাবিতে লাগিলেন, “আমার মাতা দুঃখিনী; আতি কষ্ট্রে আমাকে নিজের পুত্রের ন্যায় পালন করিয়াছেন ; আমি অর্থ উপার্জন করিয়া ইহার দুঃখমোচন করি না কেন ?” তদবধি তিনি কোন কাজের অনুসন্ধানে বিচরণ করিতে লাগিলেন। কিছুদিন পরে কোন সার্থবাহ-পুত্ৰ পাঁচ শ গাড়ী লইয়া নদীর গোপ্রতার স্থানে উপনীত হইলেন। ঐ পথের তলদেশ এমন বন্ধুর ছিল যে গরুগুলি কিছুতেই গাড়ী টানিয়া অপর পারে লইয়া যাইতে পারিল না। শেষে সেই হাজার গরু একত্র যুতিয়া দেওয়া হইল ; কিন্তু তাহারা সকলে একসঙ্গে টানিয়াও একখানিমাত্ৰ গাড়ী নদী পার করিতে সমর্থ হইল না। বোধিসত্ত্ব এই স্থানের অনতিদূরে অন্যান্য গরুর সহিত চরিতেছিলেন। সার্থবাহপুত্র গরু দেখিয়া বুঝিতে পারিতেন কোনটা উৎকৃষ্টজাতীয়, কোনটা নিকৃষ্ট জাতীয়। র্তাহার গাড়ী টানিতে পারে এমন কোন উৎকৃষ্টজাতীয় গরু ঐ পালে আছে কি না জানিবার নিমিত্ত তিনি উহার দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন এবং বোধিসত্ত্বকে দেখিবানান্ত্ৰ বুঝিতে পারিলেন ইহা দ্বারাই আমার কাৰ্য্যসিদ্ধি হইবে।” তখন তিনি রাখালদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ গরুটী কাহার ? আমি ইহাকে যুতিয়া গাড়ীগুলি পার করিতে পারিলে তাহাকে উপযুক্ত ভাড়া দিতে সম্মত আছি।” তাহারা বলিল “আপনি ইহাকে লইয়া যুতিয়া দিন ; এখানে ইহার কোন মালেক নাই।” কিন্তু স্বাৰ্থবাহপুত্র যখন বোধিসত্ত্বের নাকে দড়ি পরাইয়া টানিয়া লইতে চেষ্টা করিলেন, তখন তিনি এক পাও নড়িলেন না । “আগে ভাড়া ঠিক না করিলে যাইব না।” তিনি না কি এইরূপ সঙ্কল্প করিয়াছিলেন। র্তাহার অভিপ্ৰায় বুঝিতে পারিয়া সাৰ্থবাহপুত্ৰ বলিলেন, স্বামিন, আপনি যদি এই পাঁচ শ, গাড়ী পার করিয়া দেন তাহা হইলে আমি গাড়ী প্ৰতি দুই মুদ্রা অর্থাৎ সৰ্ব্বশুদ্ধ এক সহস্ৰ মুদ্রা দিব।” তখন আর বোধিসত্ত্বকে জোর করিয়া লইয়া যাইতে হইল না ; তিনি নিজেই শকটগুলির দিকে গেলেন। সার্থবাহের অনুচরেরা তঁহাকে এক একখানি গাড়ীর সঙ্গে যুতিয়া দিতে লাগিল ; তিনি এক এক টানে ঐ গুলি পর পারে লইয়া শুস্কভূমিতে রাখিতে লাগিলেন। এইরূপ বোধিসত্ত্ব এক এক করিয়া বণিকের পাঁচ শত শকটই পার করিয়া দিলেন । অনন্তর সাৰ্থবাহপুত্ৰ প্ৰতি শকটে এক মুদ্র হারে পাঁচশত মুদ্রা একটা থলিতে পুরিয়া বোধিসত্ত্বের গলদেশে বান্ধিয়া দিলেন। বোধিসত্ত্ব ভাবিলেন “এ ব্যক্তি, যেরূপ চুক্তি হইয়াছে, সেরূপ পারিশ্রমিক দিতেছে না ; অতএব ইহাকে যাইতে দিব না।” ইহা স্থির করিয়া তিনি পুরোবৰ্ত্তা শকটের সম্মুখে পথরোধ করিয়া দাড়াইয়া রহিলেন ; বণিকের অনুচরেরা কত চেষ্টা করিল, কিছুতেই তাহাকে সরাইতে পারিল না। তখন বণিক মনে করিলেন, “আমি যে ইহাকে অঙ্গীকৃত পারিতোষিক অপেক্ষা অল্প দিয়াছি তাহা বোধ হয় এ বুঝিতে পারিয়াছে। অনন্তর তিনি একটা থলিতে সহস্র মুদ্র রাখিয়া উহা বোধিসত্ত্বের গলদেশে বান্ধিয়া বলিলেন, “এই লাউন, আপনার সমস্ত পারিতোষিক বুঝিয়া দিলাম।” বোধিসত্ত্ব তখন ঐ সহস্ৰ মুদ্রা লইয়া তাহার ‘মাতার” নিকট চলিয়া গেলেন। তাহাকে দেখিয়া গ্রামের বালকেরা, “বুড়ীর কালক গলায় কি লইয়া যাইতেছে” বলিয়া চীৎকার করিতে করিতে ছুটয়া আসিল। বােধিসত্ত্ব তাহাদিগকে তাড়া করিয়া দূর করিয়া দিলেন এবং মাতৃসমীপে উপনীত হইলেন। পাঁচ শ, গাড়ী টানিয়া তিনি ক্লান্ত হইয়াছিলেন ; তঁহারই চক্ষু দুইটী রক্তবর্ণ হইয়াছিল। দয়াবতী বৃদ্ধ তাহার গলদেশবন্ধ সহস্র মুদ্রা পাইয়া বলিল, “বাছা, একি, ইহা কোথায় পাইলি ?” তখন রাখালদিগের মুখে সমস্ত বৃত্তান্ত অবগত হইয়া ঐ বৃদ্ধ বলিল, “আমি কি কখনও তোর উপার্জনে জীবনধারণের ইচ্ছা প্ৰকাশ করিয়াছি, বাপ ! তুই কিসের জন্য এত কষ্ট পাইতে গেলি, বল ।” তাহার পর সে বোধিসত্বকে গরমজলে স্নান করাইল, তাহার সর্বশরীরে তৈল মাখাইল এবং তঁহাকে উৎকৃষ্ট ভোজ্য ও পানীয় দিল । ।