পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७थंथंम नि°ठं বোধিসত্ত্ব বলিলেন, মহারাজ, আমরা প্ৰাণিহত্যা করি না ; কেহ কোন দ্রব্য না দিলে তাহা গ্ৰহণ করি না, কুপথে চলি না, মিথ্যা কথা বলি না, সুরা পান করি না ; আমরা সৰ্ব্বভুতে দয়া ও মৈত্রী প্ৰদৰ্শন করি, অসমান পথ সমান করিয়া দিই, পুষ্করিণী খনন করি, এবং ধৰ্ম্মশালা নিৰ্ম্মাণ করি। ইহাই আমাদের মন্ত্র, ইহাই আমাদের কবচ, ইহাই আমাদের বল। * এই কথা শুনিয়া রাজা অতিমাত্ৰ প্ৰসন্ন হইলেন । তিনি ঐ পিশুনকারকের সমস্ত সম্পত্তি বোধিসত্ত্ব ও তাহার অনুচরদিগকে দান করিলেন এবং উহাকে তঁহাদের দাসত্বে নিয়োজিত করিলেন। তঁহাদিগকে মাদিত করিবার জন্য প্ৰথম যে হস্তী আনীত হইয়াছিল এবং তঁাহারা যে গ্রামে বাস করিতেন, তাহাও রাজার আদেশে তাহাদিগেকে প্রদত্ত হইল। তদবধি এই সকল ব্যক্তি ইচ্ছামত পুণ্যকৰ্ম্ম করিতে লাগিলেন। তাহারা সুত্ৰধর পর ডাকাইয়া চৌমাথার নিকট একটি বৃহৎ ধৰ্ম্মশালা নিৰ্ম্মাণ করাইবার ব্যবস্থা করিলেন ; কিন্তু স্ত্রীজাতির প্ৰতি বিরাগ্যবশতঃ তঁহার এই সকল পুণ্যানুষ্ঠানে গ্রামবাসিনী রমণীদিগকে সঙ্গিনী করিলেন না। বােধিসত্ত্বের গৃহে চারিজন রমণী ছিলেন :- একজনের নাম সুধৰ্ম্মী, একজনের নাম চিত্র, একজনের নাম নন্দা এবং একজনের নাম, সুজাতা । একদিন সুধৰ্ম্মা সুত্ৰধারকে নিভৃতে পাইয়া তাহাকে মিঠাই খাইবার জন্য কিছু পয়সা দিয়া বলিলেন, “ভাই, যাহাতে আমি এই ধৰ্ম্মশালা নিৰ্ম্মীণ সম্বন্ধে সর্বাপেক্ষা অধিক পুণ্যভাগিনী হইতে পারি, তোমাকে এমন কোন উপায় করিতে হইবে।” সূত্ৰধর বলিল, “এর জন্য ভাবনা কি ?” সে ঐ ধৰ্ম্মশালার অন্য কোন কাজ করিবার পূর্বে একখানা কাঠ কাটিয়া, শুকাইয়া, চাচিয়া ছুলিয়া ও ছেদা করিয়া একটা সুন্দর চুড়া প্ৰস্তত করিল এবং বস্ত্ৰে আবৃত করিয়া উহা সুধৰ্ম্মার গৃহে রাখিয়া দিল। অনন্তর যখন ধৰ্ম্মশালার অন্যান্য কাজ শেষ হইল এবং চুড়া বসাইবার সময় আসিল, তখন সে বলিল—“তাইত, এখনও যে একটা কাজ বাকী আছে।” গ্রামবাসীরা জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি কাজ ?” “আর কি কাজ ? চুড়াই যে হয় নাই; চুড়া বিনা কি ধৰ্ম্মশালা হয়!” “একটা চুড়া গড় না কেন ?” “চুড়া ত কঁাচা কাঠে হইবে না। আগেই কাঠ কাটিয়া চাচিয়া ছুলিয়া ঠিক ঠাক করা উচিত ছিল।” “এখন তবে কি করিতে চাও ?” “খুজিয়া দেখিতে হইবে, কাহারও বাড়ীতে তৈয়ারী চুড়া কিনিতে

  • Neभ्रां पांच कि नां ।”

তখন সকলেই খুজিতে আরম্ভ করিলেন এবং সুধৰ্ম্মার ঘরে সেই চুড়া দেখিতে পাইলেন। সুধৰ্ম্ম কিন্তু কোন মূল্যেই উহা বিক্রয় করিতে চাহিলেন না ; তিনি বলিলেন যদি তোমরা আমাকে পুণ্যের ভাগিনী কর তবে বিনামূল্যেই তোমাদিগকে এই চুড়া দিব।” তাহারা বলিলেন, “সেও কি কখন হয়! আমরা স্ত্রীলোককে পুণ্যের ভাগ দিই না।” ইহা শুনিয়া সূত্রধর বলিল, “আপনারা এ কি আজ্ঞা করিতেছেন ? ব্ৰহ্মাণ্ডে কেবল ব্ৰহ্মলোক বিনা আর কোথাও কি স্ত্রীজাতি-রহিত স্থানে আছে ? আসুন, আমরা এই চুড়া লইয়াই কাজ শেষ করি।” তখন গ্রামবাসীরা অগত্যা এই চুড়া গ্ৰহণ করিয়া ধৰ্ম্মশালার নিৰ্ম্মাণ শেষ করিলেন। র্তাহারা উহার ভিতর ফলকাসন । এবং জলপুর্ণ ভাণ্ড রাখিয়া দিলেন এবং যাহাতে সর্বদাই , অতিথিরা অন্ন পাইতে পারে তাহার ব্যবস্থা করিলেন । ধৰ্ম্মশালার চতুর্দিকে একটী প্রাচীর নিৰ্ম্মিত হইল ; উহার এক পার্থে একটী দ্বার রহিল ; প্রাচীরের ভিতরে সমস্ত ভূমি বালুকাকীর্ণ করা হইল ; বাহিরে একসারি তালবৃক্ষ রোপিত হইল। চিত্রা সেখানে একটা উদ্যান-রচনা করাইয়া দিলেন, তাহাতে যাবতীয় পুষ্প ও ফলের বৃক্ষ রোপিত হইল। - নন্দাও" একটী পুষ্করিণী খনন করাইলেন ; উহা পঞ্চবর্ণের পদ্মে পরিশোভিত হইয়া অপুর্ব শ্ৰীধারণ করিল। কেবল সুজাতা কিছু করিলেন না। mudhamahab

  • মূলে “বৰ্দ্ধক' শব্দ আছে। ‘ইষ্টক-বৰ্দ্ধক’ বলিলে রাজমিস্ত্রী বুঝায়। 骨・守で不下t不可ーのリ* l