পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a o প্ৰথম নিপীঠ [সমবধান-তখন এই অবাধ্য ভিক্ষু ছিলেন বেণুক-পিতা ; আমার শিষ্যেরা ছিলেন সেই তপস্বিগণ এবং আমি ছিলাম তাহদের শাস্তা । ] <ঙ্গে এই জাতিক এবং ১৬১ সংখ্যক জাতিক প্ৰায় একই রূপ। 88-ss-ਟਣ5s ED DBBBD DBDB DBBDD DBBB BDDB BBDDDB DBuBBB BO BDBBD S DDD DDD D कथा लविझांछिलन । প্ৰবাদ আছে তথাগত একবার শ্রাবস্তী হইতে যাত্ৰা করিয়া মগধরাজ্যে ভিক্ষচৰ্য্যা করিতে করিতে কোন গ্রামে উপনীত হইয়াছিলেন । ঐ গ্রামের অধিকাংশ লোকই নিতান্ত নির্বোধি ছিল । তাহারা একদিন সমবেত হইয়া এইরূপ পরামর্শ করিয়াছিল। :-“দেখ, বনে গিয়া কাজ করিবার সময় আমাদিগকে মশায় খায়। তাহাতে আমাদের কাজের ব্যাঘাত ঘটে। অতএব চল, ধনুক ও অস্ত্ৰ লইয়া মশকদিগের সহিত যুদ্ধ করি, এবং তাহাদিগকে তীরবিদ্ধ করিয়া ও খণ্ডবিখণ্ড করিয়া বিনাশ করি।” ইহা স্থির করিয়া তাহারা বনে গিয়াছিল, “মশা মার, মশা মার” বলিয়া চীৎকার করিতে করিতে পরস্পরকে বিদ্ধ ও আহত করিয়াছিল, এবং অত্যন্ত দুৰ্দশাগ্ৰস্ত হইয়া প্ৰত্যাবৰ্ত্তন পূর্বক, কেহ গ্ৰাম্যদ্বারে, কেহ বা গ্ৰামমধ্যে অবসন্ন হইয়া পড়িয়ছিল। ভিক্ষুসজঘ-পরিবৃত শাস্তা ভিক্ষার্থ এই গ্রামে ‘উপনীত হইলেন। তন্ত্ৰত্য বুদ্ধিমান ব্যক্তির ভগবানকে দেখিয়া গ্ৰাম্যদ্বারে এক মণ্ডপ নিৰ্ম্মাণ করিলেন এবং বুদ্ধপ্রমুখ ভিক্ষুসঙ্ঘ্যকে প্রচুর উপহার দান করিয়া শাস্তাকে প্ৰণিপাতপূর্বক আসন গ্ৰহণ করিলেন। চারিদিকে আহত লোক দেখিয়া শাস্ত উপাসকদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এখানে বহু আহত লোক দেখিতেছি । ইহাদের কি হইয়াছে ?” উপাসকেরা বলিলেন, “ইহারা মশকদিগের সহিত যুদ্ধ করিব বলিয়া বনে গিয়াছিল; কিন্তু পরস্পরকে শরবিদ্ধ করিয়া নিজেরাই আহত হইয়াছে।” শান্ত বলিলেন, “মূর্থেরা এজন্মে মশক মারিতে গিয়া কেবল নিজেদের শরীর ক্ষতবিক্ষত করিয়াছে ; অতীত কালে লোকে মশা মারিতে গিয়া মানুষই মারিয়াছিল।” অনন্তর গ্রামবাসিগণকর্তৃক অনুরুদ্ধ হইয়া শান্ত সেই অতীত বৃত্তান্ত বলিতে আরম্ভ করিলেন :-] পুরাকালে বারাণসীরাজ ব্ৰহ্মদত্তের সময় বোধিসত্ত্ব বাণিজ্য করিয়া জীবিকা নিৰ্বাহ করিতেন। তখন কাশীরাজ্যের এক প্রত্যন্তগ্রামে অনেক সুত্রধর বাস করিত। সেখানে এক পালিতকেশ সুত্ৰধর একদিন একখণ্ড কাষ্ঠ কাটিয়া চৌরস করিতেছিল এমন সময় একটা মশক তাহার তাম্রস্থালীর ন্যায় উজ্জল মস্তকোপরি উপবিষ্ট হইয়া শল্যসদৃশ তুণ্ড বিদ্ধ করিয়া দিল । সুত্রধরের পুত্ৰ নিকটে বসিয়াছিল। সে পুত্রকে বলিল, “বৎস, আমার মস্তকে মশক বসিয়া শল্যসম হুল ফুটাইয়া দিয়াছে; তুমি তাড়াইয়া দাও ত ৷” পুত্ৰ বলিল, “বাবা আপনি স্থির হইয়া থাকুন ; আমি এক আঘাতেই মশক মারিতেছি।” এই সময়ে বোধিসত্ত্ব নিজের পণ্যভাণ্ড লইয়া উক্ত গ্রামে গমনপূর্বক সেই সুত্রধরের আলিয়ে উপবেশন করিলেন। (তিনি উপবেশন করিলে ) সুত্ৰধর আবার বলিল, “বৎস, মশাটি তাড়াইয়া দাও।” তখন তাহার পুত্ৰ “তাড়াইতেছি” বলিয়া এক প্ৰকাণ্ড তীক্ষুধার কুঠার উত্তোলন করিল এবং পিতার পৃষ্ঠদিকে অবস্থান করিয়া “মশা মারি”, “মশা মারি” বলিতে বলিতে এক আঘাতে বৃদ্ধের মস্তক দ্বিখণ্ডিত করিল। বৃদ্ধের তখনই প্ৰাণবিয়োগ হইল। বোধিসত্ত্ব এই কাণ্ড দেখিয়া ভাবিলেন, “এরূপ বন্ধু অপেক্ষা পণ্ডিত শত্ৰুও ভাল, কারণ যে বুদ্ধিমান সে অন্ততঃ দণ্ডভয়েও নরহত্যা হইতে বিরত হয় ।” অনন্তর তিনি এই গাথা আবৃত্তি করিলেন : - বুদ্ধিমান শক্ৰ, সেও মোর ভাল ; নির্বোধি মিত্রে কি কাজ ? भ°क भgिङ दथिव्ण रिङाgन्न भश्iभूर्थ १iख आख ।