পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতকে পুরাতত্ত্ব অবলম্বন করিয়া শিশুপাঠ্যগ্ৰন্থরচনাতেও প্ৰবৃত্ত হইয়াছেন। জাতকের আলোচনা করিলে আমাদের কি কি উপকার হইতে পারে তাহা নিম্নে প্ৰদৰ্শিত হইল — প্রথমতঃ-জাতকের সমস্ত . কথাই উপদেশাত্মক, এবং ইহাদের সকলগুলি না হউক, অধিকাংশ মহাপুরুষবাক্য। কাজেই ইহা হইতে আবালবৃদ্ধবনিতা সকলে নিৰ্ম্মল আনন্দের সহিত উপদেশ লাভ করিতে পরিবে। ইহার কোনও কোনও অংশ এমন সুন্দর যে, পাঠের সময় মনে হয়, যেন সেই করুণাবতার জগদগুরুর অমৃতময়ী বচনপরম্পরা এখনও আমাদের কর্ণকুহরে ঝঙ্কত হইতেছে। কিরূপে কথাচ্ছলে ও বচনমাধুৰ্য্যে অতি দুরূহ ধৰ্ম্মতত্ত্বও সৰ্ব্বসাধারণের হৃদয়ঙ্গম করাইতে পারা যায়, জাতকে তাহার ভুরি ভুরি নিদর্শন আছে। দ্বিতীয়তঃ-জাতক-পাঠে সৃষ্টির একত্ব উপলব্ধি হয়, সৰ্ব্বজীবে প্রীতি জন্মে। খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মে বলে, মানবমাত্ৰকেই ভ্ৰাতৃভাবে দেখ। বৌদ্ধধৰ্ম্মে বলে, জীবমাত্ৰকেই আত্মবৎ বিরোচনা কর। যিনি এ যুগে বুদ্ধ, তিনি অতীত যুগে মৃগ, মৰ্কট, মৎস্য, বা কুৰ্ম্ম ছিলেন; যে এ যুগে মৃগ বা মৰ্কট, সেও ভবিষ্যদষুগে পূর্ণেন্দ্ৰিয়সম্পন্ন হইয়া দুর্লভ মানবজন্ম &bাভ করিবে। অতএব, অদ্যই হউক, আর কল্পান্তেই হউক, সমস্ত জীবই এক-স্কুন্ধসমষ্টিমাত্র-এবং কৰ্ম্মক্ষয়ান্তে সকলেই নির্বাণ লাভ করিবে । পুরাকালের রীতিনীতি ও আচারব্যবহার সম্বন্ধে অনেক তথ্য জানিতে পারা যায়। কথা কল্পনাসম্ভব, কিন্তু সত্যগর্ভা । কথাকার অসম্ভবকে সম্ভবপর বলিয়া বর্ণনা করিবেন। ইহাই তাহার ব্যবসায় ; কিন্তু তিনি পারিপাশ্বিক অবস্থার বাহিরে যাইতে পারেন না ; নানা প্রসঙ্গে সমসাময়িক বিধিব্যবস্থা, রাজনীতি ও সমাজনীতি হয়। স্পষ্টভাষায়, নয় ধ্বনি দ্বারা বলিয়া যান, নচেৎ তঁহার কথার উদ্দেশ্য ব্যর্থ হইয়া পড়ে । জাতিক-সংগ্ৰহকালে দেশান্তরের সংস্পর্শে ভারতবর্ষের বিকৃতি ঘটে নাই ; কাজেই তদানীন্তন সমাজের নিখুৎ চিত্ৰ দেখিতে হইলে, এই সকল আখ্যায়িকা পাঠ করা আবশ্যক। আমরা দেখিতে পাই, তাদৃশ প্রাচীন সময়েও এতদেশীয় ধনী লোকে সপ্তভূমিক প্রাসাদে বাস করিক্তেন ; বণিকেরা পােতারোহণে দ্বাস্তুরে বাণিজ্য করিতে যাইতেন ; জঁপির্থে জল-নিয়ামকেরা ও স্থলপথে মরুকষ্ঠিীর অতিক্রম করিবার সময় স্থলনিয়ামকের পথ প্ৰদৰ্শন করিয়া দিতেন ; মহানগরসমূহের অধিবাসিগণ চাঁদা তুলিয়া অনাথাশ্রম চালাইতেন, এবং অনাথ বালকেরা পুণ্যশিষ্যরূপে পরিগৃহীত হইয়া অধ্যাপকদিগের কুটু বিস্তাভ্যাস করিত। পাঠশালার বালকেরা কাষ্ঠফলক বাতক্তিতে লিখিত ও অঙ্ক কষিত। তখন ভারতবর্ষের মধ্যে তক্ষশিলা নগরই বিদ্যালোচনার সর্বোৎকৃষ্ট স্থান ছিল ; কাশী প্ৰভৃতি দেশ হইতে শতসহস্ৰ ছাত্ৰ বিদ্যাশিক্ষার্থ তক্ষশিলায় যাইত। তখন তক্ষশিলায় চিকিৎসা-শাস্ত্ৰ শিক্ষা দিবার অতি সুন্দর ব্যবস্থা ছিল এবং তািত্ৰত্য কোন কোন ছাত্ৰ শল্য-চিকিৎসায় এরূপ নৈপুণ্যলাভ করিয়াছিলেন যে বর্তমান শল্যকৰ্ত্তাদিগের মধ্যেও সে শ্রেণীর লোক সচরাচর দেখা যায় না । 德 তখন এ দেশে দাসত্ব প্ৰথা প্ৰচলিত ছিল, অবস্থাপন্ন লোকে মূল্য দিয়া দাস ক্রয় করিতেন। তখন শাসনপ্ৰণালী সাধারণতঃ রাজতন্ত্র ছিল বটে, তৃতীয়তঃ—জাতকের অনেক আখ্যায়িকায়, বিশেষতঃ প্ৰত্যুৎপন্নবস্তুতে । كلها لا 研忆卒 WöጝUሻሣiዊiቐ| ●tóび等 दिgezथम । eV5K १ब्राऊखु । sr, Nai to, ,-